লিবারেশনের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ২৯ মার্চ এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়,
আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর স্বৈরাচারী ও কুৎসিত মন্তব্যের নিন্দা ও ধিক্কার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরের মর্মর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন। অথচ প্রায় ৭০০ দিনের কাছাকাছি ন্যায্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা করার সময়ও তিনি পাননি। আর আজ ধর্ণারত শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তিনি কুৎসিত মন্তব্য করেন!
ভারতের সংবিধান বেঁচে থাকার অধিকার ও প্রতিবাদ করার অধিকারকে মৌলিক অধিকার স্বীকার করেছে। ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে শুরু করে ন্যায় সংগত মজুরি, কর্মক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, প্রতিবাদ করার অধিকার বহু লড়াই আন্দোলনের অর্জিত ফসল।
ধিক্কারের বিষয় সংবিধান প্রণেতার মর্মর মূর্তির পাদদেশে বসেই মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত ডিএ, শূন্যপদে ন্যায় সংগত নিয়োগ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সরকারি ও সরকার-পোষিত কর্মচারীদের আন্দোলনকে কুৎসিত ভাষায় চোর ডাকাতের আন্দোলন বলে তারস্বরে গালাগালি দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বৈরতান্ত্রিক মন্তব্যকে বাংলার গণতান্ত্রিক মানুষ নীরবে মেনে নেবেন না।