২০১৩ সাল থেকে কেন্দ্র বা রাজ্য কেউই রন্ধন কর্মীদের মজুরি বাড়ায়নি। বিভিন্ন রাজ্য নিজস্ব তহবিল ব্যয় করে কিছু মজুরি বাড়ালেও পশ্চিমবঙ্গ সম্পূর্ণ উদাসীন। যত অভাব গরীব মানুষের খাটুনির দাম দিতে। গত ৪ বছর ধরে জেলায় রাজ্যে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন দিয়েও দাবি আদায় হচ্ছে না।
রন্ধন কর্মীরাও থেমে যেতে রাজি নন। আরো উন্নত সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে ব্লকস্তরের সম্মেলনগুলিতে জোট বাঁধছেন। ২৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া ২নং ব্লকের সম্মেলনে এবং গত ১ জানুয়ারি গাইঘাটা ব্লক সম্মেলনে শত শত কর্মী হাজির হয়ে ঘোষণা করলেন লড়াইয়ের কথা।
সরকারি কাজে সরকারি শ্রমিকের স্বীকৃতি, ন্যুনতম মজুরি, ১২ মাসের মজুরি, ভবিষ্যত সুরক্ষা প্রভৃতি দাবি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা সকলে বলেন।
সংগঠনের জেলানেত্রী সুলেখা বর্ধন এবং রাজ্য সম্পাদিকা জয়শ্রী দাস তাদের বক্তব্যে বলেন, “আমাদের শক্তি সংগঠন। আমরা আজ মর্যাদার সাথে যতটা অধিকার আদায় করেছি তার সবই সংগঠনের জোরে। অতএব, সংগঠনকে আরো শক্ত করতে হবে।’’ এআইসিসিটিইউ জেলা সভাপতি নারায়ণ দে এবং সম্পাদক নবেন্দু দাশগুপ্ত এই সম্মেলনগুলিতে উপস্থিত হয়ে বলেন, মোদী সরকার গরীব মানুষের বেঁচে থাকার সব সুযোগ ধীরে ধীরে কেড়ে নিচ্ছে। গরিবের শিক্ষাটাও কেড়ে নিতে চাইছে। মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ কমাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অজুহাত দিয়ে তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য প্রকল্প কর্মী, মেহনতি মানুষদের সাথে নিয়ে বৃহৎ জোট গড়ে তুলতে হবে। যারাই আমাদের দাবির সাথে একমত হবেন, সকলকে সাথে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সম্মেলন থেকে হাবড়া ২নং ব্লকের ১৫ জনের কমিটি গঠন হয়। সভানেত্রী হন টুম্পা দাস ও সম্পাদিকা রুমা রায়। গাইঘাটা ব্লকে ১৯ জনের কমিটি গঠন হয়। সভাপতি হন সঞ্জীব চক্রবর্তী ও সম্পাদিকা মনিকা দেবনাথ।