রাশিয়ায় প্রায় পাঁচশো বছর ধরে, তৃতীয় ইভানের (১৪৪০-১৫০৫ সাল) আমল থেকেই চালু ছিল জারের শাসন। দেশের অধিকাংশ ভূমি এবং সম্পদ জার, তার পরিবার ও অনুচরদের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। আর কোটি কোটি জনসাধারণ বাস করত উপযুক্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, খাদ্য, বিশ্রাম বিহীন অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের মধ্যে।
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের (১৮৫৫ থেকে ১৮৮১) আমলের আগে থেকেই রাশিয়া একের পর এক কৃষক বিদ্রোহে আলোড়িত হচ্ছিল। ছাত্র-যুব এবং জনগণের প্রগতিশীল অংশ সামন্ততন্ত্র এবং জার শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছিল এবং তা প্রায়শই ব্যক্তিহত্যার পথ বেছে নিত। জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ ও ঘৃণার বাতাবরণে ভরা রাশিয়ায় লেনিন বেড়ে উঠছিলেন। লেনিন অবশ্য নারদনিকদের ব্যক্তিহত্যার পথ একেবারেই সমর্থন করেননি। তিনি মার্কসবাদের এক স্বতন্ত্র পথে জারতন্ত্রের অবসানের কথা ভেবেছিলেন, যা বলশেভিক মতবাদ হিসেবে বিখ্যাত।
রাশিয়ায় জার-বিরোধী আন্দোলন সেই উত্তুঙ্গ পর্বে নানা মতবাদ পরস্পরের সাথে বিতর্কের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। কখনো কখনো তারা পরস্পরের কাছাকাছি আসছিল, আবার তীক্ষ্ণ বিতর্ক কখনো কখনো তাদের পরস্পর থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিল। ১৯০৫ সালে রাশিয়ায় জারের নিয়ন্ত্রণাধীন পার্লামেন্ট বা দ্যুমা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে রাশিয়ায়। এগুলির মধ্যে চরম জার সমর্থক বা জারিস্টরা যেমন ছিল, তেমনি ছিল মধ্যপন্থী অক্টোব্রিস্টরা, বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক কাদেতরা। আর ছিল জার শাসনের বিরোধী নারোদনিকদের উত্তরসূরী সোশ্যালিস্ট রিভোলিউশনারী (SR) এবং রুশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টি (RSDLP) যা কালক্রমে লেনিনের নেতৃত্বাধীন বলশেভিক ও মার্তভের নেতৃত্বাধীন মেনশেভিক দুভাগে ভাগ হয়ে যায়।
রাশিয়ায় ১৯১৭ র নভেম্বর বিপ্লবের বারো বছর আগে ১৯০৫ সালে যে বড়সড় বিপ্লব হয় এবং তার ফলেই রাশিয়ায় জার বাধ্য হন জনগণের ভোটাধিকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমুলক একটি সংসদীয় ব্যবস্থা (রাশিয়ান দ্যুমা) প্রবর্তন করতে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পরেই প্রলেতারিয় আন্তর্জাতিকতার ক্ষেত্রে পিছু হটার একটা পর্ব শুরু হয়। ইউরোপের বিভিন্ন সমাজ গণতান্ত্রিক দলগুলো নিজ নিজ দেশের যুদ্ধ-স্বার্থ তথা জাতীয় বুর্জোয়াদের লেজুড়বৃত্তি শুরু করে। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ভেঙে যায়, কেননা শ্রমিক শ্রেণির বিভিন্ন দল নিজ নিজ দেশের পুঁজির স্বার্থে পরস্পরের শত্রুশিবিরে দাঁড়িয়ে যায়। দেশ বিদেশের প্রতিকুল স্রোত এবং অজস্র ধরপাকড় অত্যাচার নির্যাতনের মুখে দাঁড়িয়েও বলশেভিকরা তাদের যুদ্ধবিরোধী অবস্থানে অটুট থাকে। লেনিনের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কর। তিনি বললেন অপর দেশের যে সমস্ত মজুরি-দাসেরা আমাদের ভাই তাদের বিরুদ্ধে নয়, অস্ত্র ঘুরিয়ে ধরতে হবে প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়া সরকারের বিরুদ্ধে। বলশেভিকরা যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই দৃঢ়ভাবে এই সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরোধিতা করে যে শান্তির আহ্বান রাখে তা রাশিয়ার বুকে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। যুদ্ধের ফ্রন্টে পরাজয়, ধ্বংস ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষিতে উদঘাটিত হয়ে উঠল জারতন্ত্রের পচন।
১৯১৭-র প্রথম থেকেই পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। রক্তাক্ত রবিবারের বার্ষিকী পালনের দিনটিতে পেত্রোগাদ, মস্কো, বাকু, নিজনি সহ রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিরাট বিরাট মিছিল হয়। দিন দিন বেড়ে উঠতে থাকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ আন্দোলন। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বলশেভিক পার্টির আহ্বানে রাশিয়ার শ্রমিকেরা একটি রাজনৈতিক সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এই আহ্বান অভূতপূর্ব সাফল্যলাভ করে এবং এতে যোগ দেয় দুই লক্ষের বেশি শ্রমিক নারী-পুরুষ। রাষ্ট্রীয় দুমার প্রতিনিধিরা জারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে সিংহাসন ত্যাগ করতে বলে। সেনাবাহিনীর থেকে কোনও আশ্বাস না পেয়ে জার দ্বিতীয় নিকোলাস পালিয়ে যান। জার স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়। রাশিয়ায় সম্পন্ন হয় বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব। জারতন্ত্রের উচ্ছেদের সাথে সাথেই শুরু হয় সাময়িক বিপ্লবী সরকার গঠন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, আট ঘণ্টার কর্মদিবসের প্রবর্তন, জমিদারদের জমি বাজেয়াপ্তকরণ ও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে বলশেভিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে দেখা দেয় শ্রমিক ও সৈনিক প্রতিনিধিদের সোভিয়েতগুলি। এই সোভিয়েতগুলিতে মেনশেভিক এবং এসআর বা সোশালিস্ট রিভোলিউশনারীরাও ছিল। তাদের অবস্থানগত দৌর্বল্যের সুযোগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দখল নিতে পারে বুর্জোয়ারাই। রাশিয়ায় এক দ্বৈত ক্ষমতার সৃষ্টি হয়। সাময়িক কেন্দ্রীয় সরকারের বুর্জোয়া আধিপত্য এবং এলাকায় এলাকায় সোভিয়েতগুলির ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে প্রলেতারিয়েত ও কৃষকদের বিপ্লবী গণতান্ত্রিক শক্তির আধিপত্য। বিপ্লবের ফলে দেশে নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। স্বৈরতন্ত্রের অবসান হল। ঘোষিত হল রাজনৈতিক স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্র প্রকাশ, সভা সমাবেশ ইত্যাদির স্বাধীনতা।
জারতন্ত্রের পতনের পর যে বুর্জোয়া সরকার ক্ষমতায় আসীন হয় তা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিলেও যুদ্ধ বন্ধ করার পক্ষপাতী ছিল না। লেনিন এই পরিস্থিতিতে বলশেভিকদের কার্যপ্রণালী নির্ধারণের জন্য বিকশিত ও বিকাশমান দিকগুলির বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন বিপ্লবের প্রথম পর্যায়টিই কেবল সমাপ্ত হয়েছে এবং তার মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা গেছে বুর্জোয়াদের হাতে। তিনি স্লোগান তুললেন সোভিয়েতগুলির হাতে সমস্ত ক্ষমতা তুলে দেবার জন্য। ‘এপ্রিল থিসিস’ নামে বিখ্যাত রচনায় এই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও প্রয়োজনীয়তা হাজির করেন লেনিন। বলেন ক্ষমতা যাওয়া চাই শ্রমিক শ্রেণি ও গরিব কৃষকের হাতে। সব ক্ষমতা চাই সোভিয়েতের হাতে, সাময়িক সরকারকে কোনও সমর্থন নয় – এই রণধ্বনি তিনি স্থির করেন। তিনি বোঝালেন কেবল সোভিয়েতগুলির রাজই পারে জনগণের জন্য শান্তি, কৃষকদের জমি এবং ক্ষুধিতদের রুটি দিতে।
কার্নিলভের বাহিনীর প্রতিবিপ্লবী সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শ্রমিক জনগণের সংগ্রামে বলশেভিকরা নেতৃত্ব দেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই কার্নিলভ বাহিনী বিধ্বস্ত হয়। এই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশ সবেগে বাঁক নিতে শুরু করল বলশেভিকদের দিকে। সোভিয়েতগুলির পুনঃনির্বাচনে বলশেভিকরা পেতে থাকল অধিকাংশ ভোট। পেত্রোগ্রাদ, মস্কো সহ দেশের অধিকাংশ গুরূত্বপূর্ণ সোভিয়েত হয়ে উঠল বলশেভিক।
পেত্রোগ্রাদ দখল ও বিপ্লবের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রচনা করা হয়। সেই অনুযায়ী ৭ নভেম্বর সকালে অভ্যুত্থানকারীদের দখলে যায় টেলিফোন, টেলিগ্রাফ ভবন, রেডিও স্টেশন। নেভার ওপরের সব রেলসেতু, রেল স্টেশন এবং রাজধানীর অতি গুরূত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান। ৭-৮ নভেম্বর ১৯১৭ মধ্যরাত্রের পর অভ্যুত্থানীদের হাতে এলো প্রধান ডাকঘর, নিকলায়ভস্কি স্টেশন আর বিদ্যুৎ স্টেশন। সকালে নৌ-বহরের নাবিকরা দখল করল রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক। ৮টায় দখল হল ওয়ারশ স্টেশন। যুদ্ধ জাহাজ ‘অরোরা’ এসে দাঁড়াল শীতপ্রসাদে কামান দাগার আওতার মধ্যে। সকালের মধ্যেই পেত্রোগ্রাদ শহর চলে এলো অভ্যুত্থানকারীদের হাতে। ৮ নভেম্বর ১৯১৭ সকালে সামরিক বৈপ্লবিক কমিটি গ্রহণ করল লেনিনের আবেদন – রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি সেখানেই ঘোষিত হল সাময়িক সরকারের উচ্ছেদ ঘটেছে।
‘আরোরা’ থেকে শীত প্রাসাদে গোলাবর্ষণ শুরু হল, সাময়িক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কেরেনস্কির পালিয়ে গেলেন। রাত ১০টা ৪০ মিনিট সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ভরা জোয়ারে স্মোলনিতে শ্রমিক ও সৈনিকদের দ্বিতীয় সারা রুশ সোভিয়েত কংগ্রেসের উদ্বোধন হল। ৯ নভেম্বর ১৯১৭ রাত ২টা ১০ সাময়িক সরকারের মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হলেন। ১০ নভেম্বর ১৯১৭ ভোর ৫টা ১৫ মিনিট শেষ হল সারা রুশ সোভিয়েত কংগ্রেস। ঘোষিত হল শান্তির ডিক্রি, ভূমির ডিক্রি, বলা হল – অবিলম্বে জমির ওপর জমিদারি মালিকানা উচ্ছেদ হবে। গঠিত হল বিশ্বের প্রথম শ্রমিক-কৃষকের সরকার, জন কমিশার পরিষদ। লেনিন নির্বাচিত হলেন তার প্রধান। জন্ম হল পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশের। পেত্রোগ্রাদের পর মস্কো সহ রাশিয়ার অন্যান্য শহর ও অঞ্চল ক্রমশ বলশেভিকদের নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে।
বিভিন্ন ডিক্রি জারি করে জনগণের দীর্ঘকালীন দাবি দাওয়াগুলির সমাধানের কাজ শুরু হয় সরকার প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই। জমি, শান্তি ও রুটির শ্লোগানে বলশেভিকরা জনগণকে সংগঠিত করেছিল। নতুন সরকারের প্রথম পদক্ষেপ ছিল জমি ও শান্তির জন্য ডিক্রি জারি করা। ‘শান্তির ডিক্রি’র মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরুর ডাক দেওয়া হয়। ‘জমির ডিক্রি’র মাধ্যমে খোদ কৃষককে জমির ওপর অধিকার প্রদান করা হয়। এরপর একে একে জারি করা অন্যান্য ডিক্রিগুলো ছিল আট ঘণ্টা শ্রমসময়, শ্রমিকদের হাতে কারখানার নিয়ন্ত্রণ, শ্রেণিভেদ ও সামাজিক মর্যাদাভেদ নিষিদ্ধকরণ, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, সেনাবাহিনীতে কর্মরত সমস্ত সেনার সমান অধিকার প্রদান, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, অবৈতনিক চিকিত্সা ও স্বাস্থ্যরক্ষা এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রের নতুন ইউনিয়ন গঠন ইত্যাদি সম্পর্কিত।
প্রথম কয়েক বছর অবশ্য বলশেভিক সরকারের সামনে নানা ধরনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ আসতে থাকে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যেমন মেনশেভিক ও সোশ্যালিস্ট রেভেলিউশনারিরা শান্তির লক্ষ্যে অপরিহার্য ব্রেস্ট লিটোভস্ক চুক্তির মারাত্মক বিরোধিতা করে। বলশেভিকদের মধ্যেও বুখারিনের নেতৃত্বে রেড কমিউনিস্টরা এর বিরোধিতা করেছিলেন। অবশেষে জার্মানির সঙ্গে শান্তিচুক্তি হলেও বলশেভিকদের দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি মেলেনি। তবে অনেক জায়গাতে তাদের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ অবধি পরের তিন বছরে শ্বেতরক্ষী বাহিনী ও বিদেশী হানাদারদের বিরুদ্ধেও বলশেভিক সরকার ও লাল ফৌজকে রক্তাক্ত কঠিন লড়াইতে সামিল হতে হয়েছিল। সেই লড়াইয়ের সাফল্য শুধু সামরিক সাফল্য ছিল না। তা অর্জিত হয়েছিল শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী অর্জন ও শ্রেণিসংগ্রামের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দিশার মধ্যে দিয়ে।
রুশ বিপ্লব ছিল খাঁটি গণবিপ্লব। বুর্জোয়া ব্যবস্থার বিলোপ ঘটল এর মধ্য দিয়ে। মানব ইতিহাসে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হল প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব, স্থাপিত হল শ্রমিক কৃষকের রাষ্ট্র। নভেম্বর বিপ্লব শুধুমাত্র একটা রাজনৈতিক ক্ষমতা বদল ছিল না। রাশিয়ার জনগণের জীবনে এক গভীর সামাজিক অর্থনৈতিক রদবদল সূচিত করলো এই বিপ্লব, শুরু হল দেশের বৈপ্লবিক পুনঃনির্মাণ – নতুন সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের সূত্রপাত হল। রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হল সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের নতুন যুগ। শুধু রাশিয়া নয়, বিশ্বের প্রতিটি কোণায় কোণায় তার উজ্জ্বল রশ্মি ছড়িয়ে পড়ল। সারা পৃথিবীর শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষ ও বিবেকী বুদ্ধিজীবীরা এর প্রেরণায় উদ্বেল হলেন। দেশে দেশে সূচিত হল নতুন স্বপ্নের পৃথিবী গড়ার লড়াই।
– সৌভিক ঘোষাল