২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় তিরিশ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জানুয়ারি থেকে গোন্দলপাড়া জুটমিল আবার বন্ধ। এই সময় পর্বে ৬ জন শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন, অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন ৩০ জন। শ্রমিক মহল্লায় নৈরাশ্য, প্রশাসনের দিক থেকেও মিল খোলার ব্যাপারে কোনো সদর্থক ভূমিকা নেই। গত ২৬ আগস্ট জিতেন্দ্র প্রসাদ রবিদাস নামের মাত্র ২৮ বছর বয়সের এক শ্রমিক আত্মহত্যা করে, তার দু’দিন আগেই মিলের শ্রমিক শেখর দাস চন্দননগর হাসপাতালে মারা যান। এআইসিসিটিইউ’র পক্ষ থেকে এই দুই পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়া হয়। সেই সময় প্রতিনিধিদল অসহায় শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীতা অনুভব করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর এআইসিসিটিইউ’র উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্বজিৎ দে স্মৃতি শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্থানীয় মনসাতলা ক্লাবে এই দুই মৃত শ্রমিকদের পরিবার সহ এই রকম অসহায় বেশ কিছু শ্রমিক পরিবারের মহিলাদের হাতে শাড়ি ও অর্থ তুলে দেওয়া হয়। সেদিনের কর্মসূচিতে হাজির ছিল পাশের তেলিনিপাড়া অঞ্চলের ছাত্রীরা। ১২ সেপ্টেম্বর সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের এক প্রতিনিধিদল চন্দননগর এসডিও’র সাথে সাক্ষাৎ করে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মিল খোলা ও মৃত শ্রমিক পরিবারগুলিকে আর্থিক অনুদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।