ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার ১৯ বছর বয়সী মেয়ে অঙ্কিতা সিং-এর নৃশংস হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক। পুলিশ অভিযুক্ত শাহরুখ হুসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সিপিআই(এমএল) অঙ্কিতা হত্যার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি এবং অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সঙ্ঘ এবং বিজেপি এই ইস্যুটিকে সাম্প্রদায়িক মোচড় দিয়ে মেরুকরণের চেষ্টা করছে, “লাভ জিহাদ” এর প্রচার করছে। বাস্তবে এটি একটি লিঙ্গভিত্তিক হিংসা। পুরুষের দ্বারা এইভাবে মেয়েদের তাড়া করে প্রেমে বাধ্য করার হিংস্রতা খুবই কমন ব্যাপার। বিজেপি ও সংঘ পরিবারের এই ‘লাভ জিহাদ’ জিগির আসলে নারীর ওপর এই ধরনের পুরুষ আধিপত্যবাদী হিংসাকে প্রতিহত করার সমস্ত লড়াইকেই নাকচ করে দেয়, এবং তারা কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক চেহারা দিতেই ব্যস্ত।
অন্যদিকে আরেকটি ঘটনায়, আদিবাসী মেয়েকে অত্যাচার করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। অঙ্কিতার হত্যার ক্ষেত্রে বিজেপি যখন ঝাড়খণ্ডে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে ঠিক তখনই একজন আদিবাসী মেয়ে সুনিতা একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা বিজেপির জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য দ্বারা নির্মমভাবে নির্যাতিত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করার সময় তার ওপর কেমন অত্যাচার চলে তা প্রকাশ্যে এসেছে এক ভিডিওতে। সেখানে সুনিতা বর্ণনা করেছেন কীভাবে তাকে সীমা গরম তাওয়া এবং রড দিয়ে মারধর করেছিল এবং এমনকি অমানবিকভাবে মেঝের প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করেছিল। তার দাঁতও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সুনীতা অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও সীমা পাত্রকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সিপিআই(এমএল) সুনিতার বিরুদ্ধে সহিংসতার সাথে জড়িত সীমা পাত্র এবং অন্য সকলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।