খবরা-খবর
বিষ্ণুপুর পুরসভায় সাফাই কর্মচারিদের আংশিক দাবি আদায়
Bishnupur municipality

বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৌরসভার সামনে সারা দিন ধরে অবস্থান আন্দোলন চলে সরকার নির্ধারিত পুজো অনুদান ৪৮০০ টাকা এবং দৈনিক মজুরি ৩৪২ টাকার দাবিতে। কর্তৃপক্ষকে আগাম জানান দিয়েই এদিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। পৌরপিতা এদিন সকালেই কর্মচারিদের সামনে ঘোষণা করে দেন যে এবছর উল্লিখিত পুজো বোনাস দেওয়া হবে। সেই কথায় বিশ্বাস-ভরসা রেখে সারাদিনের অবস্থান কর্মসূচি কাটছাঁট করে ৩ ঘন্টার প্রতিবাদ সভা করা হয় এবং এই সভা থেকে নির্বাহি কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ইউনিয়নের সম্পাদক দিলবার খান পৌরপিতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সরকার নির্ধারিত সামান‍্য বোনাসটুকু থেকেও সাফাই কর্মচারিদের বঞ্চিত করা হয়েছে বরাবর। ধন‍্যবাদ জ্ঞাপনের সাথে সাথে দিলবার খান কর্তৃপক্ষকে সতর্কও করে দেন। তিনি বলেন, এই কথার খেলাপি করে পুজোর প্রাপ‍্য অনুদান না দিলে জরুরিভিত্তিতে পৌরসভা পরিস্কারের কাজ বন্ধ রাখা হবে, তার জন্য সম্পুর্ণভাবে দায়ী থাকবেন পৌরপিতা। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিউ রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু, জেলা সভাপতি বাবলু ব্যানার্জি, মেদিনীপুর পৌরসভার সংগ্রামী শ্রমিক নেতা তপন মুখার্জি, ইউনিয়নের সভাপতি ফারহান হোসেন খান সহ অন্যান্যরা। সকলেই বলেন, পুজো অনুদানের দাবি পৌরপিতা মেনেছেন তা ভালো, এবারে তাঁদের দল পরিচালিত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ন্যূনতম দৈনিক ৩৪২ টাকা মজুরির স্বীকৃতি দিন। পৌরসভার জীবনযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক দৈনন্দিন কাজটা যারা করছেন সেই সাফাই মজুররা সরকার ঘোষিত ন‍্যুনতম মজুরি পাচ্ছে না কেন? এছাড়া প্রত‍্যেক মজদুরকে পরিচয়পত্র, পিএফ, স্থায়ীকরণ, শূন্যপদে মজদুরদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়োগের অগ্রাধিকার ইত‍্যাদি দাবি উঠে আসে। মজুরদের এই আন্দোলন কলকাতায় চাকরির দাবিতে ৫০০ দিনের অধিক অবস্থানে থাকা যুবছাত্রছাত্রী বা জবকার্ডে কাজ করেও গত ডিসেম্বর মাস থেকে মজুরি না পাওয়া গ্রামাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মেহনতি মানুষের সংগ্রামের সাথে এক সূত্রে গাঁথা বলে জানিয়েছেন ফারহান হোসেন খান।

খণ্ড-29
সংখ্যা-36