১৭-১৮ সেপ্টেম্বর পাটনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠকের বৈঠকের সারসংক্ষেপ
আয়ারলা জাতীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠক গত ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর পাটনা রাজ্য দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ স্মরণ দিয়ে বৈঠক শুরু হয়। উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের কমরেড অর্জুন লাল সহ অন্যান্য কমরেডদের গ্রেপ্তারি ও নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করা হয়। কমরেড অর্জুন একজন জনপ্রিয় দলিত নেতা এবং আয়ারলা জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য। দলিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ এখনও চলছে। জানা গেছে, আজ অন্যান্য কমরেডরা সহ কমরেড অর্জুনও জামিন পেয়েছেন। ৫৫টি দলিত পরিবারের ঘর ভেঙ্গে দিয়ে উচ্ছেদের ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য সাথী পাপ্পু খানের গ্রেপ্তারির ঘটনারও তীব্র নিন্দা করা হয়। তিনি একজন তরুণ সিপিআই(এমএল) নেতা এবং ইনসাফ মঞ্চের দ্বারভাঙ্গা জেলা সম্পাদক।
আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে গ্রাম ও পঞ্চায়েতগুলিতে অপুষ্টি ও ক্ষুধার বেড়েচলা ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বৈঠক উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এই প্রসঙ্গে গরিব বিরোধী অম্বানি- আদানিমুখি মোদী সরকারের অপদার্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে।
দাবি করা হয় যে, মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা ছাড়াও সরকার অবিলম্বে রান্নার গ্যাসের দাম অর্ধেক করুক, গরিবদের বিদ্যুৎ বিল মকুব করুক। খাদ্যদ্রব্য সহ পড়াশোনা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধাগুলি ও সামগ্রীকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখুক। সরকার যেভাবে গণবণ্টন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং রেশন ছাঁটাই করছে তার বিরোধিতা করা হয় এবং এই বিষয়ে গ্রামস্তর থেকে রাজধানী পর্যন্ত প্রতিবাদ করার ডাক দেওয়া হয়। দলিত-গরিবদের বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার পরিঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আবাস অধিকার’কে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করার দাবি ওঠে। সংবিধান, গণতন্ত্র ও দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে বদলে দিতে যে আঘাত নেমে আসছে, গ্রামীণ দরিদ্র সহ গ্রামবাসীদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেল, সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের প্রতি বৈঠক থেকে সংহতি প্রকাশ করা হয়। দলিত-সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে চলা ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা-দাঙ্গার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করা হয়।