বিষ্ণুপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বেশিরভাগ অংশটাই বস্তি অঞ্চল। ৬-৭ বছর আগে থেকে সরকারি বাড়ির জন্য কাগজ বহুবার জমা নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ বাড়িই কাঁচা। কোনো বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, আবার কোনো বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে যাচ্ছে। ফলে বাড়ির ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা থেকে শুরু করে রান্নবান্না এবং নিত্যব্যবহারিক অন্যান্য দিকগুলি সমস্যার মুখে পড়ছে। গত ৫ আগস্ট সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পাড়ার সাধারণ মানুষের উদ্যোগে ত্রিপলের প্রয়োজন, এমন বেশকিছু পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করে গত ১৫ আগস্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জমা করলে তিনি জানান, ওয়ার্ডে ত্রিপল বিলিবন্টন হয়ে গেছে। অথচ তালিকাভুক্ত কোনো ব্যাক্তির কাছেই ত্রিপল পৌঁছায়নি। কাউন্সিলরের কাছে সঠিক তথ্য না পেয়ে আজ ওয়ার্ডবাসীরা মিউনিসিপালিটি চেয়ারম্যানের কাছে আবার ত্রিপলের জন্য আবেদন করেন এবং ‘ত্রিপলের বিলিবণ্টনের’ নামে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। পৌরসভার চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন যে সরজমিনে তদন্ত করে বঞ্চিত গরিব মানুষের হাতে ত্রিপল তুলে দেবেন। কিন্তু দুর্নীতির তদন্তের প্রশ্নে কোনো জবাব দেননি। ঘুরপথে প্রতিটি সরকারি প্রকল্প, তা সে আবাস যোজনা হোক কিম্বা ত্রিপল বন্টন সবই দলবাজির মধ্যে দিয়ে দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো আশানুরূপ ফল না পাওয়া গেলে “দুর্নীতিতে তৃণমূল-বিজেপি, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই বলে প্রমানিত হবে” – দাবি করেন পার্টির নেতা এবং ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারহান খান।