১৯৭১ সালের ১২-১৩ আগস্ট কাশীপুর বরানগরে তৎকালীন কংগ্রেসী গুন্ডারা এক নির্মম গণহত্যা সংগঠিত করেছিল। নকশালপন্থী রাজনীতি করার অপরাধে শতাধিক যুবক ও তরুণকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে এই রাজ্যে সিদ্ধার্থ রায়ের নেতৃত্বে এক কেয়ারটেকার মন্ত্রীসভা ছিল। বিপ্লবী রাজনীতিকে শেষ করার জন্য এই ঘৃন্যতম হত্যালীলা সংগঠিত হয়েছিল। এত বড় গণহত্যার আজও কোনও বিচার হয়নি। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের শাসনকালে কোন বিচার করেনি। ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি সরকার ক্ষমতায় এসে ডি পি সেনগুপ্ত কমিশন তৈরি করে। সমস্ত সাক্ষ্য সহ কমিশন রিপোর্ট জমা দিলেও তা আজও বর্তমান সরকার প্রকাশ করেনি। এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলেছে বহুভাবে। প্রতিবেশি বাংলাদেশে আজও একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু এপার বাংলায় সেটা করা হয় না।
গত ১৩ আগস্ট কাশীপুর-বরানগর গণহত্যার বিচারের দাবির পুনর্ঘোষণা করে সিঁথির মোড়ে শহীদ বেদীর সামনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মাল্যদান করে পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদদের স্মৃতিতে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাবুনি মজুমদার।