স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের প্রচারে ঝাঁ ঝাঁ করল গোটা ভারতবর্ষ। একদিকে কেন্দ্রের মোদী সরকারের ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’, অন্যদিকে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বললেন, “মহিলাদের প্রতি সম্মান দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীশক্তির পাশে থাকা জরুরি।” অথচ, একইদিনে গুজরাটের বিজেপি সরকার তাঁবেদারদের দিয়ে বিলকিসের ১১ জন ধর্ষককে গোধরা জেল থেকে মুক্ত করালো। তারপর আবার আরএসএস’এর কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে এদের মাথায় তিলক কেটে, গলায় মালা পরিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক সি কে রাউলজি বলেছেন, “ওরা সকলেই ব্রাহ্মণ সন্তান। মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ।” অর্থাৎ গোটা ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, মুসলিম মহিলাদের ধর্ষণ করা বিজেপি-আরএসএস’এর কাছে প্রশংসার। ২২ আগস্ট, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে উত্তর ২৪ পরগণার বেলঘরিয়ায় মহিলা সংগঠন আইপোয়া ও ছাত্র সংগঠন আইসা’র যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদীসভা সংগঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন আইপোয়ার মিতালি বিশ্বাস, অর্চনা ঘটক, তিথি সহ অন্যান্যরা। আইসার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ত্রিয়াশা লাহিড়ী ও সুরত্ন। আজকের দেশব্রতী’র পক্ষ থেকে বলেন সৌভিক ঘোষাল ও জয়ন্তী দাশগুপ্ত। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে বলেন শিবশংকর গুহ রায়।
আইপোয়া’র পক্ষ থেকে হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় বিলকিস বানোর অপরাধীদের মুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মোদী ও অমিত শাহ’দের ধিক্কার জানিয়ে পোস্টারিং করা হয়।
২০ আগস্ট আইসা, এআইপিএফ, বন্দীমুক্তি কমিটি, এপিসিআর, ফ্রেণ্ডস অব ডেমক্রেসি, জামায়াতে ইস্লামী হিন্দ সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের ডাকে কলকাতায় একাদেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে ধিক্কার সভা হয় দলিত ছাত্র ইন্দ্র মেঘওয়ালের হত্যা ও বিলকিস বানোর ধর্ষকদের শাস্তি মকুবের বিরুদ্ধে। এই সভায় অন্যান্যদের সাথে আইসার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অত্রি ভট্টাচার্য।