আসানসোল
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের উখড়া হাটতলা নেতাজী মূর্তির সামনে, আসানসোল কোর্টের কাছে ঘড়ি মোড়, রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় বাসস্ট্যান্ড ও চিত্তরঞ্জন আমলাদহী বাজারে প্রতিবাদী সভা সংগঠিত হয়। সভার মূল দাবি তোলা হয় শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিগ্রস্ত সমস্ত মন্ত্রী, নেতা ও আধিকারিক আমলাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
হাওড়া
এসএসসি কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে হাওড়া জেলার বালি পুরসভার সামনে ৫ আগস্ট সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের বিক্ষোভসভা সংগঠিত হয়। তারপর পুরসভার সামনে জি টি রোড অবরোধ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হয়। এই বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আইসা রাজ্য সভাপতি নীলাশিস বসু, সিপিআই(এমএল) বালি-বেলুড় লোকাল কমিটির সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, কল্যাণী গোস্বামী সহ আইসার সাথীরা। মধ্য হাওড়া লোকাল কমিটির উদ্যোগে হালদার পাড়ায় এসএসসি দুর্নীতির বিরুদ্ধে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবং সমস্ত নিয়োগ প্রার্থীদের চাকরির দাবিতে পথসভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন নীলাশিস বসু, সিপিআই(এমএল) জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত, রাজ্য কমিটি সদস্য পরিতোষ ব্যানার্জী। বিক্ষোভসভা শেষে মধ্য হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোস রোডের হালদার পাড়া মোড়ে অবরোধ করা হয়।
শিলিগুড়ি
রাজ্যে এসএসসি-প্রাইমারী টেটে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কঠোর শাস্তি, মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহি ও মেধা তালিকাভুক্ত যোগ্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবিতে শিলিগুড়ি শহরে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের এক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিল হিলকার্ট রোড ও সেবক রোড পরিক্রমা করে হাসমি চক মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলের শেষে বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটি সদস্য বাসুদেব বসু। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার। মিছিলে আরও ছিলেন পবিত্র সিংহ, পুলক গাঙ্গুলি, শরৎ সিংহ, পৈসাঞ্জু সিংহ, মুক্তি সরকার, শ্বাশ্বতী সেনগুপ্ত, বর্ষীয়ান নেত্রী গৌরী দে প্রমুখ।
নদীয়া
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি উন্মোচিত হয়ে পড়ার ঘটনাবলী রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে চলমান সীমাহীন দুর্নীতির প্রশ্নগুলিকে একেবারে সামনে তুলে নিয়ে এসেছে। ১০০ দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনা, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি সংস্কারমূলক কাজের ক্ষেত্রে মানুষের চোখের সামনে চুরি দুর্নীতি চলতি ভাষায় যাকে বলে ‘গা সওয়া’ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে, মানুষ প্রতিটি প্রশ্নে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছেন। অপর দিকে চাষাবাদের এই ভরা মরসুমেও বৃষ্টির অভাবে পাটচাষ চরম সংকটে। পাট ভেজানোর জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহের প্রশ্নে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। এই প্রেক্ষাপটে নদীয়ার বিভিন্ন স্থানে পার্টির পক্ষ থেকে প্রচার কর্মসূচি সংগঠিত হয়। ব্যাপক মানুষের সাড়া মেলে। দুর্নীতি রোধ করার উপায় হলো গণতদারকী বা স্বচ্ছতা। প্রচারে এই বিষয়টিকেও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়। টিএমসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাম করে বিজেপি যে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি করছে তা উন্মোচিত করে এবং তাঁদের দুর্নীতির শিরোমনি চরিত্রকে তুলে ধরে বক্তব্য রাখা হয়।
গত ২৪ জুলাই ধুবুলিয়ার নেতাজী পার্কে এক প্রতিবাদ সভা করা হয়। ২৮ জুলাই জেলা সদর কৃষ্ণনগর অফিসে চারু মজুমদারের শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানের পর মিছিল করে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এক প্রচারসভা সংগঠিত হয়। এতে শহরের মানবাধিকার কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। ৪ আগস্ট ধুবুলিয়া বটতলা বাজার, পলতা মোড় ও রেলবাজার এলাকায় প্রচার সভা করা হয়। ব্যাপক মানুষ ভীড় করে সভাগুলি শোনেন। বহু মানুষ এগিয়ে এসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া, সমস্তরকম বেআইনী নিয়োগগুলিকে তদন্ত করে বাতিল করা, সমস্ত শূণ্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা প্রভৃতি বিষয়গুলি মানুষ জানায়। ৫ আগস্ট নবদ্বীপ শহরে প্রাচীন মায়াপুর বাজারে এক প্রচারসভা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ আগস্ট বেথুয়াডহরী স্ট্যাচুর মোড়ে আরওয়াইএ এবং পার্টির পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ সভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় এক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। আচমকাই এক ব্যক্তি মাইক কেড়ে নিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুরু করে। তৎক্ষণাৎ উপস্থিত পার্টি কর্মীরা তাকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর দীর্ঘ প্রচার সভা সংঘটিত হয়। সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের প্রচার সভায় বিজেপির হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গাবাজ ভূমিকাকেও উন্মোচিত করে বক্তব্য রাখা হয় যা এলাকায় ভালো সাড়া ফেলেছে। এই কর্মসূচিগুলিতে পার্টির রাজ্য ও জেলা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।