৫০০ দিনেরও বেশি অতিক্রান্ত, ন্যায্য নিয়োগের দাবিতে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। ৫ আগস্ট কার্জন পার্কে কমিউনিস্ট বিপ্লবী সরোজ দত্ত শহীদ স্মরণ বার্ষিকী পালনের পরে পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদ, আরওয়াইএ, এআইএসএ, এআইপিডব্লিউএ, এআইসিসিটিইউ, এআইএলএজ এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সদস্যরা স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ধর্ণা আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের অবস্থান স্থলে যান। ‘লড়াই করো লড়াই করো যত দিন না বিজয়ী হও’ গণসঙ্গীতের মাধ্যমে হকের দাবিতে আন্দোলনকারী এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের অদম্য লড়াইকে কুর্ণিশ জানান পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সরিৎ চক্রবর্তী সহ বাবুনি মজুমদার, প্রণব মুখার্জি ও সাথীরা। সমস্ত প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে রাজপথে অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সাথীদের সেলাম জানিয়ে আন্দোলনের পাশে শেষ অবধি থাকার অঙ্গীকার নিয়ে বক্তব্য রাখেন আইসার নীলাশিস বসু, এআইসিসিটিইউ’র বাসুদেব বসু, এআইপিডব্লিউ’র কাজল দত্ত, সিপিআই(এমএল) কলকাতা জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী, এআইএলএজ’এর রাজ্য সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য, গণসংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী, মানবাধিকার আন্দোলনের বর্ষীয়ান সংগঠক অমলেন্দু ভূষণ চৌধুরী, মধুরিমা বক্সী সহ অন্যান্যরা। সভা পরিচালনা করেন আরওয়াইএ’র রাজ্য সম্পাদক রণজয় সেনগুপ্ত। বক্তারা বলেন, এই আন্দোলন সারা দেশের বুকে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রোদ, ঝড়, জল উপেক্ষা করে এই নাছোড়বান্দা লড়াইয়ের ফলেই আজ নিয়োগ দুর্নীতির স্বরূপ প্রকাশ্যে এসেছে। আর তাই এখন একটাই দাবি, কোনও টালবাহানা বা গোপন আলোচনা নয়, সমস্ত শূন্যপদে অবিলম্বে সকল যোগ্য তথা বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করে বঞ্চিতদের ন্যায় দিতে হবে। আন্দোলনের সমর্থনে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, গণকনভেনশন সহ বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে আসে আলোচনা থেকে। নিয়োগের ন্যায্য দাবি না মানা হলে আরও বৃহত্তর লড়াইয়ে সর্বতোভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়।