১৫ আগস্ট, স্বাধীনতার ৭৫ বছর। বিসিএমএফ অন্তর্ভুক্ত নৈহাটি জুটমিলের ১১ তম শ্রমিক সম্মেনন অনুষ্ঠিত হল। শুরুতে তেরঙ্গা ও লাল ঝান্ডা উত্তোলন করা হয়। শহীদদের স্মরণ করে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করার পর, সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন এআইসিসিটিইউ ও বিসিএমএফ নেতৃবৃন্দ শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওম প্রকাশ রাজভর, মাজাহার খান, কৃষ্ণা বেহারা, মহঃ আলি, উজ্জ্বল বেহারা, নারয়ণ দে ও নবেন্দু দাশগুপ্ত। ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্ত ও লোকাল কমিটি সম্পাদক দেবজ্যোতি মজুমদার। ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রদীপ দাস।
সম্মেলনে শ্রমিকদের উৎসাহ ছিল এবং নিজেরাই এলাকা লাল পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। প্রতিটি বিভাগ থেকেই শ্রমিক প্রতিনিধি এসেছিলেন। তরুণ শ্রমিকদের উপস্থিতি ভালো ছিল। দশজন শ্রমিক কারখানার বেহাল দশা, কর্তৃপক্ষের শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। ইউনিয়ন জোড়ালোভাবে প্রতিবাদ করতে পারছে না, এর জন্য দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন।
সম্মেলন ৩৩ জনের কার্যকরী কমিটি এবং ১৩ জনের অফিস বেয়ারা নির্বাচিত করে। নবেন্দু দাশগুপ্ত সভাপতি, সহ সভাপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহম্মদ জহিম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ইউনিয়ন ও পার্টি নেতৃবৃন্দ দেশ ও রাজ্য পরিস্থিতি তথা শিল্প পরিস্থিতি এবং শ্রমিক আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।