দিল্লী আবার সরগরম হল কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের জমায়েতে। গত ২২ আগস্ট এরকমই সমাবেশের সাক্ষী থাকে দিল্লী, একইসাথে অবহিত হয় বাকি দেশ। চাষিরা সংগঠিত হয়েছিলেন বকেয়া দাবিগুচ্ছের সনদ নিয়ে। প্রায় ৬০টি চাষি সংগঠনের মিলিত ফোরাম “সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ডাক দিয়েছিল ওই দিনের কর্মসূচির। তাতে সাড়া দিয়ে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, কর্ণাটক, কেরালা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কৃষক সামিল হন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন, লখিমপুর খেরী মামলার ন্যায়বিচার, কিষাণ আন্দোলনে ধৃত সাথী বন্দীদের মুক্তি, ২০২২-এর বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ও অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করার দাবিতে সোচ্চার হন সংগ্রামী চাষি জনতা। মোদী সরকার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেনি, প্রতারণা করেছে। সরকার আন্দোলনের রাশ নিয়ন্ত্রণ করতে মধ্যস্থতাকারী একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি কৃষকদের স্বার্থে কিছুই করেনি। ওই কমিটির লোকেরা আরএসএস-বিজেপির। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিরা মোদী সরকারের তৈরি কমিটিতে যায়নি। কৃষকরা ছেড়ে কথা বলবেন না। আট মাস পর এই জমায়েত মনে করা হচ্ছে আবার আন্দোলন শুরু করার মহড়া। পরবর্তী আলোড়ন তোলার পদক্ষেপ স্থির করতে আগামী অক্টোবর মাসের গোড়ার দিকে মহাপঞ্চায়েত আবার জড়ো হতে পারে।