বারুইপুর সংশোধনাগারে এ মাসের গোড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চারজন বন্দীর অস্বাভাবিক ঘটনা রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাড় করায়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুর রজ্জাক দেওয়ান, জিয়াউল লস্কর, আকবর খান এবং সাইদুল মুন্সী। সকলের বয়স মধ্য তিরিশ। হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করে দেখা যায় গায়ে প্রচুর প্রহারের দাগ। পিটিয়ে কষ্ট দিতে দিতে স্যাডিস্ট কায়দায় মেরে ফেলা হয়েছে।
মানবাধিকার আন্দোলনকারী সংগঠনগুলির চাপেও রাজ্য সরকারের সময় খারাপ যাচ্ছে বলে, জেলা অধিকর্তা নিহতদের পাঁচ লাখ করে টাকা ও পরিবার পিছু একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা অবধি এগোনো বাস্তবে অধরাই থেকে যাবার সম্ভাবনা।
প্রাথমিক তদন্তে প্রতিবাদীরা জেনেছেন আসামীদের নামে বারুইপুর, বিষ্নুপুর ও মহেশতলা থানার আলাদা আলাদা ঘটনার কেসে আলিপুর ও বারুইপুর কোর্টের মারফৎ তারা বারুইপুর জেলে এসেছিলেন। এডমিনিস্ট্রেটিভ এরেস্ট। ডাকাতির প্রস্তুতির ধারা ৪৯৯ এবং ৪০২ নং। থানায় মার খেয়েও জেলে গিয়ে বাড়ির লোককে সাক্ষাৎ করার সময় তাঁরা ভালো থাকার কথাই জানান। তার কয়দিনের মধ্যেই মারা গেলেন এবং বাড়িতে খবর গেল দুদিন পর!
পর্যবেক্ষণের ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার আমলাতন্ত্রের মধ্য দিয়ে সংঘ পরিবার কর্তৃক হিন্দুরাষ্টের জন্য যে ইসলাম-বিরোধী অবস্থানের “পরিশীলিত” বীভৎসতার রিহার্সাল শুরু হয়েছিল, এটা তারই তাক লাগানো আর এক কিস্তি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ফ্যাসিস্ট শক্তি জনপ্রিয় পন্থার বাইরেও পাশাপাশি একটা ষড়যন্ত্র মূলক ভীতিপ্রদর্শনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে দিয়ে সংখ্যালঘুদের হত্যা করানোর জন্য আদিম নরভক্ষণের প্রবৃত্তিকে উস্কানি দিচ্ছে। পরিস্থিতি তাই সুশীল সমাজের দ্বারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই জঘন্য পরিকল্পনার অন্তর্জলীযাত্রা দাবি করছে।