গত ৯ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসী বনবাসী অধিকার পদযাত্রার ডাক দেয় বনাধিকার ও প্রকৃতি বাঁচাও আদিবাসী মহাসভা। মূলত এই অভিযানকে সামনে রেখেই মহাসভার পথচলা শুরু। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সচেতনতা অভিযান চলে। ১৫ আগষ্টের পরও অনেক জেলা এই পদিযাত্রা চালিয়ে যায়। বাঁকুড়া জেলায় তপন সর্দার সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, বিভিন্ন রাজ্যে আদিবাসীদের জমি ও অরণ্য উন্নয়নের নামে লুট করা হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলাতেও এটা ঘটছে। গ্রামসভার অনুমতি ছাড়াই জমি নিয়ে নেওয়া হয়। অরণ্যের ওপর আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৬এর বনাধিকার আইন এবং আদিবাসী এলাকায় স্বায়ত্ত্বতার জন্য ১৯৯৬-এর পেসা আইন আছে। কিন্তু আদিবাসীদের মধ্যে এই আইনগুলি সম্পর্কেতেমন সচেতনতা নাই। সেই কারণেই এই আধিকার পদযাত্রা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গ্রামে গ্রামে এই পদযাত্রা চালিয়ে সকল্কে এই দুটি আইন ও অন্যান্য অধিকার বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করা হয়। তপন সর্দার আরও বলেন যে, এখন আদিবাসীদের মধ্যে পড়ালেখা করা মানুষের সংখ্যা একটু বেড়েছে এবং আদিবাসীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের অনেক সংগঠন গড়ে উঠছে। যে সব সংগঠন এই অধিকার নিয়ে লড়াই করতে চায় তাদের বিভিন্নভাবে জোটবদ্ধ হতে হবে। পুরুলিয়া জেলার নেতা সুপেন হেম্ব্রম বলেন, আইনিও অনুযায়ি আদিবাসীদের অধিকার আছে, আইনগুলি আদিবাসীদের শক্তি দিয়েছে নিজের জমি বাঁচানোর। কিন্তু আইন প্রয়োগের বিষয়ে আমরা উদ্যোগি না হওয়ায় আমাদের বিভিন্নভাবে বোকা বানানো হয়। ঝাড়গ্রামের সংগঠক রাজিব বাস্কে বলেন, আফসোসের কথা হল আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই আমাদের অধিকার রক্ষা করার জন্য কিছু করে না। তার জন্য আমাদের নিজেদের জাগরণ দরকার। সম্প্রতি পরিবেশ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এনে আদিবাসীদের ক্ষতি করা হয়েছে এবং এখন বনসংরক্ষণের নামে আমাদের অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।