কমরেড যুথিকা সাহা রায় গত ১২ ফেব্রুয়ারী বিকালে তাঁর কলকাতার বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন। আদতে নবদ্বীপের বাসিন্দা, চিকিৎসার প্রয়োজনে গত কয়েক বছর থাকছিলেন কলকাতায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি রেখে গেছেন জীবনসাথী গণসঙ্গীতকার নীতীশ রায় সহ অগণিত সংগ্রামী ও অনুরাগী বন্ধুজনদের। তাঁর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দরদীরা বাঘাযতীনের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর মরদেহ নিয়ে আসা হয় পার্টির রাজ্য অফিসে। সেখানে পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, রাজ্য কমিটি সদস্য নীতীশ রায় সহ সমবেত সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী ও সদস্যরা অন্তিম শ্রদ্ধা জানান। সবশেষে, তাঁর শবদেহ দাহ করা হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেও উপস্থিত হয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান অনেকে।
মৃত্যুসংবাদ পেয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এক শোকবার্তায় বলেছেন, “কমরেড যুথিকার মৃত্যুতে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি শোকাহত। কমরেড নীতীশ ও অন্য সমস্ত সাথীহারা কমরেডদের গভীর সমবেদনা জানাই।”
চলে গেলেন কমরেড যুথিকা সাহা রায়। তিনি ছিলেন নদীয়া জেলায় বিশেষ করে নবদ্বীপের রাজনৈতিক-সামাজিক-মহিলা আন্দোলনে, বিশেষত বিপ্লবী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জগতের বহুমুখী কর্মকান্ডে এক সংগ্রামী প্রতিমূর্তি। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে বহু ঝড়-ঝাপটা, দু:খ-কষ্ট যন্ত্রণা সমস্ত কিছুই হাসি মুখে সহ্য করার এক অপরিসীম ক্ষমতা ছিল তাঁর। কোনোদিনই সংগ্রাম থেকে তিনি পিছিয়ে আসেন নি। অপার স্নেহে, অকৃত্রিম ভালোবাসায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকলের প্রিয় “ছোড়দি”। সিপিআই(এমএল)-এর দীর্ঘদিনের পার্টি সদস্য কমরেড যুথিকা রায় অমর রহে, তাঁকে জানাই লাল সেলাম। তাঁর স্মৃতি অবিনশ্বর হোক।
সিপিআই(এমএল) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি