বিহারে ক্যানাল সংস্কারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন

সারা ভারত কিসান মহাসভা গত ১৪ নভেম্বর সোন ক্যানালের কম্যান্ড অঞ্চলের আটটা জেলার সদরে ধর্ণা সংগঠিত করে। কৃষকদের দাবিগুলো ছিল : কাডবান বাঁধের ইন্দ্রপুরি জলাধারের নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে; নীচের দিকে একেবারে শেষ সীমা পর্যন্ত জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে শোন ক্যানালের আধুনিকীকরণ করতে হবে; খরা কবলিত সমস্ত এলাকার কৃষকদের জন্য যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সেই টাকা অবিলম্বে দিতে হবে; ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক সমস্ত কৃষকদের ৫০০০ টাকা করে পেনশন দিতে হবে; উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানাতে যেমন দেওয়া হয় সেরকম বিহারের কৃষকদেরও উপকরণ বাবদ একর প্রতি ২০০০০ টাকা ভর্তুকি অগ্ৰিম দিতে হবে। এই ধর্ণার আগে কয়েক’শ গ্ৰামে জনসমাবেশ এবং বেশ কিছু ব্লকে কনভেনশন সংগঠিত হয়।

ঔরঙ্গাবাদ জেলার সদরে সংগঠিত ধর্ণায় বক্তব্য রাখেন এআইকেএম-এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজারাম সিং। তিনি বলেন, শোন কম্যান্ড এলাকার ৪০ শতাংশই হল খরা প্রবণ এবং তার কারণ হল সরকারের নেওয়া কৃষক-বিরোধী নীতি এবং কাডবান জলাধার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি না রাখা। জেএনইউ-র ছাত্র-ছাত্রীদের ফি বৃদ্ধি আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ঐ ফি বৃদ্ধি আসলে দরিদ্রদের উচ্চ শিক্ষা থেকে দূরে রাখার একটা চক্রান্ত।

aikm

 

পাটনা জেলা সদরে ধর্ণা মিছিল কালেক্টরেটে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ থামিয়ে দেয়। তবে সেই স্থানেই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয় এবং কালেক্টরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এখানে ধর্ণা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন এআইকেএম-এর জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক উমেশ সিং, কৃপা নারায়ণ সিং, রাজেন্দ্র প্যাটেল এবং অন্যান্যরা। ধর্ণা সংগঠিত হওয়ার আগে কৃষক সমাবেশগুলি অনুষ্ঠিত হয় পালিগঞ্জ, দুলহিন বাজার, বিক্রম, নৌবতপুর প্রভৃতি ব্লকে। ব্লক স্তরে কৃষকদের সম্মেলনগুলিও সংগঠিত হয়।

ভোজপুর জেলার পিরোতে এক মিছিল ও জনসভা সংগঠিত হয়। কৃষক জমায়েতগুলি অনুষ্ঠিত হয় পিরো, সন্দেশ, জগদীশপুর, আগিয়াঁও, তারারি, সাহার ও অন্যান্য ব্লকে। এই জমায়েতগুলিতে নেতৃত্ব দেন বিধায়ক সুদামা প্রসাদ, প্রাক্তন বিধায়ক চন্দ্রদীপ সিং ও অন্যান্যরা। কৃষক কনভেনশন সংগঠিত হয় তারারি, সন্দেশ ও আরায়।

রোহতাস জেলার সদর সাসারামে ধর্ণা সংগঠিত হয়, তাতে নেতৃত্ব দেন জওহর লাল সিং, প্রাক্তন বিধায়ক অরুণ সিং ও অন্যান্যরা। তার আগে কৃষক জমায়েতগুলি সংগঠিত হয় কারাকাট, বিক্রমগঞ্জ, দাওয়া, নাসিরগঞ্জ, রাজপুর, আকাউধোগোলা ও চানারি ব্লকে। আরোয়াল জেলার সদরের ধর্ণায় বক্তব্য রাখেন এআইকেএম-এর জাতীয় সহ-সভাপতি শিবসাগর শর্মা, রাজেশ্বরী যাদব এবং আরো অনেকে। খামাইনি, কোরিয়াম এবং অন্যান্য গ্ৰামে কৃষক সমাবেশেও সংগঠিত হয়। জাহানাবাদ, বৈশালী এবং কৈমুর জেলার সদরেও ধর্ণা সংগঠিত হয় এবং কৃষকদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কালেক্টরদের কাছে জমা দেওয়া হয়।

খণ্ড-26
সংখ্যা-39