রাজধানীর বুকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কৃষক আন্দোলনের প্রতিনিধিরা সমস্বরে আওয়াজ তুলে ধরলেন—যে কৃষকরা দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে তাদের থেকে বড় দেশপ্রেমিক বা রাষ্ট্রবাদী আর কে হতে পারে! তাই কৃষকের সংকট সমগ্র দেশের সংকট। “রাষ্ট্রবাদ” তথা জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে কৃষকের প্রতি বঞ্চনা অবহেলা মানবো না। কৃষকের ফসলের ন্যায়সঙ্গত দাম ও ঋণমুক্তির প্রশ্নে অবিলম্বে পার্লামেন্টের বিশেয অধিবেশন ডাকতে হবে। সম্মিলিত এই আওয়াজ পার্লামেন্টের ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা শাসকদের কানে না পৌঁছালেও গ্রামীণ ভারতের কৃষক সমাজ গ্রামে-গঞ্জে,পথে-প্রান্তরে তাদের বাঁচার এই দাবিগুলিতে সোচ্চার। এই পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক বিরোধী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আগামী ৮ জানুয়ারী গ্রামীণ ভারত বনধের ডাক দিলো দেশের সংগ্রামী কৃষক সংগঠনগুলির যুক্তমঞ্চ সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। গত ২৯-৩০ ডিসেম্বর দিল্লীর মবলঙ্কর হলে দেশের ২৫টি রাজ্য থেকে আগত ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি সংখ্যায় কৃষক সংগঠনের আট শতাধিক প্রতিনিধি এই কনভেনশনে অংশ নেয়। সমস্ত বামপন্থী দলসমূহের কৃষক ও কৃষিমজুর সংগঠনগুলি, মহারাষ্ট্রের শারদ যোশীদের চাষি আন্দোলনের সংগঠন, উঃ প্রদেশের পিলিভিট অঞ্চলের কিষাণ নেতা বিএমসিং এর সংগঠন, ডাঃ সুনিলমের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের সমাজবাদী ধারার সংগঠন, দিল্লীর যোগেন্দ্র যাদবদের জয় কিষাণ আন্দোলন, দেশজুড়ে জল-জমি-জঙ্গলের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটকর, পঞ্জাবের কিষাণ সংগঠন সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা ও এলাকা ভিত্তিক নানা ধরনের সংগঠনগুলি এই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কনভেনশন চলাকালে নতুন করে ২০টি সংগঠন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কৃষকের বৃহত্তর সংগ্রামী ঐক্যের এই বার্তা তুলে ধরে মঞ্চের আহ্বায়ক বি এম সিং বলেন, এই মঞ্চ দেশের বুকে একটা স্বীকৃতি পেয়েছে। এর জন্য সংগঠনের ধারাবাহিক এবং দৃঢ় ভূমিকা রয়েছে। কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ককে মোদী গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাথে চুক্তি করতে, ওদের দেশ থেকে দুধের অবাধ আমদানী করার জন্য। এর বিরুদ্ধে দেশের ৫০০টি জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। প্রবল চাপের ফলে মোদীকে চুক্তি না করেই ফিরে আসতে হয়েছে। সরকারের নীতির কারণেই কিষাণ সমাজ আজ ঋণগ্রস্ত। এনএপিএম নেত্রী মেধা পাটকর বলেন, শাসকের নীতি হল ‘বিকাশের’ নামে বিনাশ,পরিবেশ রক্ষার নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ। বহু লড়াই সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের ভূমি আইন হয়েছিলো। যেখানে বলা হয়েছিলো গ্রামসভার মতামত ছাড়া কোনো সরকারী পরিকল্পনা কার্যকর করা যাবে না। মোদী সরকার একে খারিজ করতে চাইছে। এখন রেল বেসরকারীকরণের কারণে নতুন করে জমির প্রয়োজনে, এসইজেড এর নামে হাজার হাজার মানুষকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় আদিবাসী সহ গরীব মানুষের জমির অধিকার রয়েছে। লড়াই করা ছাড়া আইন কার্যকর করা যাবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন “মিনিমাম নয়, ম্যাক্সিমাম’’ অর্থাৎ ফসলের ন্যূনতম নয়—সর্বাধিক সহায়ক মূল্যের দাবি কেন আমরা তুলবো না? এআইকেএস নেতা হান্নান মোল্লা ২০১৩ জমি আইন তৈরীর পেছনে কৃষক আন্দোলন ও সংসদীয় সংগ্রামের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,সাময়িক পিছু হঠলেও মোদী সরকার একে বরবাদ করতে চায়। কেন্দ্র বা রাজ্য যে সরকারই কৃষক উচ্ছেদ করতে চাইবে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এআইকেএম নেতা রাজারাম সিং বলেন, পঞ্জাবের সাংগ্রুর, উত্তর প্রদেশের শোনভদ্র, উন্নাও প্রভৃতি স্থানে আদিবাসী- দলিত-গরিবের উপর বিজেপির মদতপুষ্ট জমি মাফিয়া ও পুলিশ ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়ে গণহত্যা সংগঠিত করেছে। সেখানে পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে উঠেছে। এটা কৃষক আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। আজ গৈরিক হামলার বিরুদ্ধে কৃষকের একতা বজায় রাখতে হবে। কৃষক আন্দোলনের চাপে আরসিইপি তথা “আসিয়ান” দেশগুলির সাথে অবাধ বানিজ্য চুক্তি থেকে মোদী সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। এতে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাও উল্লসিত। কিন্তু আমাদের সমস্ত রকম অসম ও কৃষক-স্বার্থ বিরোধী বৈদেশিক চুক্তির বিরোধিতা করতে হবে। সমাজের সবচেয়ে বুনিয়াদি শক্তি আদিবাসীদের উপর ক্রমবর্ধমান হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটনাগপুর-সাঁওতাল পরগণা টেন্যান্সি এ্যাক্ট, পঞ্চম তফসিলি প্রভৃতি আইনি অধিকারগুলি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ঝাড়খন্ডে ৪০ লক্ষ আদিবাসী মানুষকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাগুলি যথা উত্তরাখন্ড, ত্রিপুরা, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য এবং কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জমি লুঠের প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে অথচ কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। তাই কৃষিজমি সুরক্ষা আইন প্রনয়ণের দাবীতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ কৃষকদের সাথে বনাঞ্চলের কৃষক-আদিবাসী-মহিলা কৃষক-সকলের সংগ্রামী একতা গড়ে তুলতে হবে। এই একতার শক্তির বলে আমরা গ্রামে গ্রামে সাম্প্রদায়িকতা তথা এনআরসি-র বিষ ঢুকতে দেব না। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষক সংগঠনের নেতা কিরণ বৈশ্য কৃষিমজুর, ভাগচাষি-চুক্তিচাষিদের কৃষক পরিচিতি সত্তাকে তুলে ধরে বলেন, এরা ছাড়াও পশুপালন, দুধ উৎপাদন সহ কৃষিজমির সাথে সম্পর্কিত সমস্ত মানুষরাই আন্দোলনে রয়েছেন। আদিবাসীরা কোনোরকম ঋণ পায়নি, কিন্তু ঋণমুক্তির দাবিতে গড়ে ওঠা দীর্ঘ কিষাণ লং মার্চে তারাই ছিলেন অন্যতম শক্তি। দেশে ঋণের দায়ে যত কৃষক আত্মহত্যা করেছে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই হলো ভূমিহীন চাষি-ভাগচাষি-চুক্তি চাষি। এই সমস্ত গরিবদের শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ সামাজিক সুরক্ষার দাবি তুলে ধরতে হবে। পুঁজিপতিদের জন্য লক্ষ লক্ষ একর জমির ‘‘ল্যান্ডব্যাংক” গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের দাবি হবে, কর্পোরেটদের নয়, ভুমিহীনদের কৃষি ও বাস্তু জমি দাও, আইনি বৈধতা দাও। এদের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন চাই। মহারাষ্ট্রের আদিবাসী আন্দোলনের নেত্রী সুশীলা মালিক বলেন,২০০৬ সালে তৈরি হওয়ার পরে ২০১৯ পর্যন্ত বনাঞ্চল আইনে মাত্র ১৬ শতাংশ আদিবাসী স্বীকৃতি পেয়েছে। পাট্টার জন্য জমা পড়া লক্ষ লক্ষ আবেদন খারিজ করা হয়েছে। কাশ্মীর থেকে আসা গুলাম নবি মালিক বলেন, ভয়াবহ সরকারী দমননীতির কারনে আপেল উৎপাদন ও ন্যায্য দাম পেতে কাশ্মীরের চাষিদের চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জয় কিষাণ আন্দোলনের নেতা যোগেন্দ্র যাদব কনভেনশনকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করে বলেন, এই প্রথম কৃষক-কৃষিমজুর ভাগচাষি-আদিবাসীরা এক মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে বীমা কোম্পানিগুলি চাষিদের থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম বাবদ তুলে নিয়েছে, আর চাষীরা পেয়েছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৩ হাজার কোটি টাকা ওরা মুনাফা করে নিয়েছে। তিনি কৃষি থেকে বেসরকারী বীমা কোম্পানি হঠিয়ে দিয়ে সরকারী বীমা সংস্থাগুলিকে দায়বদ্ধ করার দাবি তুলে ধরেন। কৃষক নেতা সুনিলম কৃষকদের প্রতি সরকারের বৈষম্য ও অবহেলার বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন। যথা, শিল্পবাণিজ্য-গার্হস্থ ক্ষেত্রে সব সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়,অথচ কৃষিক্ষেত্রে গভীর রাতেই কেবল স্বল্প মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। সমস্ত রকম বীমাগুলি রূপায়িত হয়, কেবল কৃষি বীমা কার্যকর হয় না। তিনি সারা দেশে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলে ধরেন। বিশিষ্ঠ কৃষি বিশেষজ্ঞ দর্শন পাল দিল্লীতে ধোঁয়াজনিত কারণে পরিবেশ দূষণের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কৃষকদের দায়ী করার বিরোধিতা করে বলেন, কৃষকরা সমাজকে খাদ্য দিয়েছে আর সরকারী মদতপুষ্ট কর্পোরেট দুনিয়া রাসায়নিক সার-কীটনাশকের মাধ্যমে কৃষকদের দিয়েছে মারণরোগ। পঞ্জাবে একটা ট্রেনের নামটাই হয়ে গেছে ‘‘ক্যানসার স্পেশাল’’। উন্নত কৃষির উপজাত হয়ে উঠেছে ক্যান্সার আক্রান্ত চাষীদের ভীড়, যারা ঐ ট্রেনে করে এই বিশেষ রোগের জন্য প্রসিদ্ধ একটি হাসপাতাল যায়। চাষের খরচ প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় ফসলের অবশিষ্টাংশ গোড়া তোলার ব্যয় বহন করতে চাষীরা অপারগ, তাই সেগুলি পুড়িয়ে দিতে তারা বাধ্য হয়। এই “ধোঁয়াজনিত দূষণ” বন্ধ করতে সরকারকেই সেই খরচের দায় নিতে হবে। বিহার বিধান সভার বিধায়ক সুদামা প্রসাদ বলেন, বিহারে কৃষিজমির ৮০ ভাগেই ভাগ চাষ বা চুক্তিতে চাষ হয়ে থাকে। এই চাষিরা কোনো রকম সরকারী সুযোগ সুবিধা পায় না। এদের স্বার্থে দেশব্যাপী একটা জঙ্গী আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। বক্তব্য রাখেন এআইকেএম উত্তরপ্রদেশের নেতা উপেন্দ্র সিং কুশওয়া, মহারাষ্ট্রের কিষাণ নেতা প্রাক্তন সাংসদ রাজু শেঠি যিনি এনডিএ ছেড়ে চলে এসেছেন, ভারতীয় কিষাণ ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের নেতা অতুল আনজান, নিউ ডেমোক্রেসির কিষাণ নেতা অশোক মিত্তাল, কৃষক নেতা সত্যবান, সংযুক্ত কিষাণ সভার সুভাষ নস্কর,অগ্রগামী কিষাণ সভার হরিপদ বিশ্বাস, এবং বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত প্রতিনিধিরা। সঞ্চালনায় ছিলেন এআইকেএম নেতা প্রেম সিং গেলওয়াট সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মোদী সরকারের কর্পোরেটমুখী নীতির বিরুদ্ধে, কৃষকের ফসলের উৎপাদন খরচের দেড়গুণ দাম ও ঋণমুক্তির দাবিতে, কৃষিজমি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন,ভাগ- চুক্তি চাষিসহ সমস্ত প্রকৃত চাষিদের সরকারী নথীভূক্তি,২০০ দিনের কাজ ও ন্যায্য মজুরি, কৃষক ও সমস্ত গ্রামীণ গরিবদের ৫০০০ টাকা পেনশন ও সামাজিক সুরক্ষা সহ বিভিন্ন দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট এবং ভারত বনধকে সফল করে তোলার জন্য দেশব্যাপী প্রচার আন্দোলন তীব্রতর করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গৃহীত প্রস্তাবনায় বলা হয় কৃষকের উন্নয়নের প্রশ্নটি কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসীর আর্থিক বিকাশের বিষয় নয়,এটা আমাদের জাতীয় মর্যাদা ও সভ্যতার ঐতিহ্য কে রক্ষা করার প্রশ্ন। কৃষকরা নিছক আমাদের অতীত অবশেষ নয়, কৃষক-কৃষি ও গ্রামীণ সমাজ আমাদের দেশ ও সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ। কৃষক আন্দোলনের দাবীগুলি আমাদের সংবিধান, মৌলিক অধিকার ও নির্দেশাত্মক নীতিসমূহের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।
কনভেনশন থেকে ১৯ দফা দাবিসনদ গৃহীত হয়। যার অন্যতম হল—অবিলম্বে ফসলের ন্যায্য দামের অধিকার ও সমস্ত ধরনের ঋণ থেকে মুক্তির জন্য আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন করতে হবে, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ করো, আদিবাসী কৃষকদের উচ্ছেদ বন্ধ কর, পঞ্চায়েত (শিডিউল এলাকা এক্সটেনশন) আইন কঠোরভাবে লাগু কর, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থেকে কৃষিকে বাদ দিতে হবে, ভূমিহীনদের কৃষি ও বাস্তু জমি সহ জীবিকার অধিকার দাও, জল ও খনিজ সম্পদের অধিকার চাই, কেবল বীমা কোম্পানিগুলির স্বার্থেনয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত ধরনের ফসল ও চাষিদের স্বার্থে সময়মতো কার্যকরী ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ সুনিশ্চিত করো, চুক্তিচাষের নামে কৃষি ক্ষেত্রে কর্পোরেট আগ্রাসন বন্ধ করো-চুক্তিচাষ আইন ২০১৮ বাতিল করো ইত্যাদি।