রেল-এর বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সাসারামে ১৮ জন ছাত্র ও যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। সিপিআই(এমএল)-এর একটি দল সাসারাম পরিদর্শন করেন এবং ৩০ অক্টোবর গয়ার কেন্দ্রীয় কারাগারে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। ঐ দলে ছিলেন সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আরওয়াইএ সভাপতি মনোজ মঞ্জিল, এআইএসএ-র রাজ্য সম্পাদক সবীর কুমার, ভোজপুর আরওয়াইএ-র আহ্বায়ক শিব প্রসাদ রঞ্জন, সাসারাম জেলা সম্পাদক বাবলু কুমার ও অন্যান্যরা। জেলে আটক ছাত্ররা তাঁদের জানান, পুলিশ রাত সাড়ে বারোটার সময় লজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে, তখন কেউ ঘুমোচ্ছিল আর কেউ কেউ আবার পড়াশোনা করছিল। তুলে নিয়ে আসার পর তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে মারধরের পর জেলে পোরা হয়, কিছু খেতে দেওয়া হয় না, এমনকি জল চেয়েও পায় না। থানায় নিপীড়নের ফলে দেহে দগদগে হয়ে থাকা প্রহারের চিহ্নও অনেকে দেখান।
এর আগে ২৯ অক্টোবর সিপিআই(এমএল)-এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড কুনাল রেল-এর বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে ছাত্র ও যুবকদের আন্দোলনকে অভিনন্দিত করেন এবং প্রতিবাদকারীদের উপর সরকারের চালানো নিপীড়নের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, সাসারামের রেল পুলিশ এবং স্থানীয় পুলিশ যোগসাজশ করে প্রতিবাদী ছাত্র ও যুবকদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা চাপিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন আরও অনেকের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে এবং প্রশাসনের কাছে এই দমনমূলক পদক্ষেপ বন্ধের দাবি জানান।
মনোজ মঞ্জিল বলেন, প্রশাসন সাসারামে এক সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। লজগুলোতে লাগাতার হানাদারি চালানো হচ্ছে, যেন ছাত্ররা সন্ত্রাসবাদী। প্রশাসনের এই নিপীড়নে আতঙ্কিত হয়ে অনেক ছাত্রই লজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তিনি আরও বলেন, মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানায় কাজের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। একদিকে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মন্দার মতো পরিস্থিতি, অন্যদিকে যে সামান্য কাজগুলো পাওয়া যেত, রেল, বিমানবন্দর ইত্যাদির বেসরকারীকরণের ফলে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা অতএব সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, কাজ চাইলে নিপীডনের মুখোমুখী পড়াটাই মোদী জমানার বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।