সরকারি পরিবহন শিল্পের কন্ট্রাক্ট, এজেন্সি শ্রমিকদের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বর্ধিত বেতন, সকল শ্রমিকদের (যাদের বেতন ৩০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে নয়) ৪ হাজার টাকা বোনাস, স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমমজুরি, চেকিং এর নামে শ্রমিকদের মর্যাদাহানি বন্ধ করা, অবিলম্বে শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া কাটমানি ফেরত দেওয়া, জোর করে ১২/১৩ ঘন্টা কাজ করানো বন্ধ করা, মৃত শ্রমিক পরিবারের সদস্যকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়া সহ ১৫ দফা দাবিতে ২৬ সেপ্টেম্বর এআইসিসিটিইউ-র অন্তর্ভুক্ত ‘অল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর ডাকে পরিবহন ভবন অভিযান করা হয়। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। শত শত শ্রমিক এই অভিযানে সামিল হওয়ায় সরকারি বাস পরিষেবা লক্ষ্যণীয়ভাবে ব্যাহত হয়। সরকারের পরিবহন শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ আজ মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। আজ যাত্রী দুর্ভোগের জন্য আমরা দুঃখিত এবং এর জন্য সরকারই দায়ী বলে আমরা মনে করছি। অভিযান সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় এবং গণেশ এভিনিউ-বেন্টিক ষ্ট্রীট এর মুখে পুলিশ ব্যারিকেড করায় শ্রমিক কর্মচারিরা সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সভা শুরু করেন।
৫ জনের এক প্রতিনিধি দল (দিবাকর ভট্টাচার্য্য, বলরাম মাঝি, রাজু দাস, বিশ্বরঞ্জন সরকার, তুহিন কয়াল) পরিবহন দপ্তরের জয়েন্ট এম ডি, এডিশনাল সেক্রেটারি এবং অপর একজন আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং স্মারকলিপি দেন। শারদ উৎসবে শ্রমিকরা বোনাস না পেলে পূজোর চার দিন গাড়ি চালাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বর্ধিত বেতন এ মাস থেকেই কর্তৃপক্ষ চালু করবেন বলে জানালে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অর্ডার কপি দিতে বলা হয়। কর্তৃপক্ষ অর্ডার কপি ইউনিয়নের হাতে তুলে দেয়। স্থায়ী খালি পোষ্টে কন্ট্রাক্ট, এজেন্সি কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি জানানো হয়। সমকাজে সম মজুরির দাবীসহ বিভিন্ন দাবিগুলিকে দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ পরিবহন মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে বিষয়গুলির সুষ্ঠু সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বসু, রাজ্য সভাপতি অতনু চক্রবর্তী, রাজ্য নেতা নবেন্দু দাশগুপ্ত, ইউনিয়ন নেতা গৌরাঙ্গ সেন প্রমুখ।