দেশজুড়ে ফ্যাসিবাদী উত্থানে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী দাওয়া নিয়ে সামনের সারিতে এসে দাঁড়িয়েছে আইসা (অল ইণ্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন)। পশ্চিমবঙ্গেও এই পর্যায়ে আইসার কাজের বিকাশ এবং তাকে দৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আইসার জাতীয় সম্মেলনের আগে হাওড়া, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্মেলন সংগঠিত হল।
১৫ সেপ্টেম্বর আইসা’র প্রথম হাওড়া জেলা সম্মেলন সংগঠিত হল বালি আশুতোষ গ্রন্থাগারে। শহীদ চারু মজুমদারের নামে নগর এবং শহীদ যতীন দাসের নামে মঞ্চের নামকরণ করা হয়। সম্মেলনে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দিপনাময় উপস্থিতি এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ সম্মেলনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আইসার রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু, রাজ্য সভাপতি নীলাশিস এবং রাজ্য পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐশিক। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নয় জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়। জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন অঙ্কিত, জেলা সভাপতি অমিতাভ, সহ সভানেত্রী মৌ এবং যুগ্ম সম্পাদক তীর্থ। কোষাধ্যক্ষ হন সৌভিক।
১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দ হলে সংগঠিত হল আইসা’র চতুর্থ কলকাতা জেলা সম্মেলন। এতে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থঘোষ, রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু, রাজ্য কমরেড নীলাশিস এবং সম্মেলনের পর্যবেক্ষক ফারহান। এই সম্মেলনে সাথীদের কবিতা এবং প্রাণবন্ত গান সম্মেলনকে উদ্দীপ্ত করে। সম্মেলন চলাকালীন খরব আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় ক্যাম্পাসে আসেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করেন। সম্মেলন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ধিক্কার প্রস্তাব গ্রহণ করে। সম্মেলন থেকে তেইশ জনের জেলা কমিটি এবং আট জনের অফিস টীম গঠিত হয়। জেলা সম্পাক হন সৌমেন্দু এবং সভাপতি হন অভিজিৎ। সম্মেলন শেষে মিছিল করে যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
দীর্ঘদিন চেষ্টাচালানোর পর আইসার প্রথম দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্মেলন সংগঠিত হয় বজবজে মনোরঞ্জন নস্কর ভবনে। ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন বজবজ চলার পথে সাংস্কৃতিক সংস্থার সাথীরা। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা সম্পাদক কিশোর সরকার, আইসা’র রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু, রাজ্য সভাপতি নীলাশিস এবং সম্মেলনের পর্যবেক্ষক ঋতম। সম্মেলন থেকে নয় জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়, তার সম্পাদিকা হন শবনম পারভীন খান, সভাপতি হন দীপ মালিক, যুগ্ম সম্পাদিকা অনন্যা মালিক, সহ সভানেত্রী সঞ্জনা ধাড়া এবং কোষাধ্যক্ষা হন অনিন্দিতা মালিক। সম্মেলন শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি মিছিল বজবজ চড়িয়াল মোড় পরিক্রমা করে পুনরায় মনোরঞ্জন ভবনে এসে শেষ হয়।