১৩ সেপ্টেম্বর এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে পুলিশী বর্বরতার বিরুদ্ধে রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। এই হিংস্রতায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে আহত আক্রান্ত নেত- নেত্রীদের জামিন অযোগ্য ধারায় কেস দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ প্রশাসন। তীব্র ধিক্কার। দেশজুড়ে একের পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে চলছে চাকরি থেকে ছাঁটাই অভিযান। অটোমোবাইল শিল্প ধুঁকছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চরম হামলার শিকার। জিডিপি সর্বনিম্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। এরাজ্যেও নতুন কোনো বিনিয়োগ নেই। বন্ধ বা রুগ্ন কোনো একটা মিল কারখানা বা প্রতিষ্ঠান খোলেনি বা পুনরুজ্জীবন হয়নি। এই অবস্থায় দেশজুড়ে ছাত্র যুব সংগঠনগুলি সম্মানজনক কাজ ও মজুরির দাবিতে পথে নেমেছে। অথচ গতকাল বামপন্থী ছাত্র যুবরা সেই দাবিতে পথে নামলে এ রাজ্যের পুলিশ হামলা চালায়, গ্রেফতার করে, জেলে পাঠায়। ধিক রাজ্য সরকারকে। আগামী দিনে আরও আরও বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন চাকরির দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে, গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে পথে নামবে। কোনো পুলিশী ব্যারিকেড, কোনো পুলিশী সন্ত্রাস যৌবনের এই তরঙ্গকে আটকাতে পারবে না।
এআইএসএ-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি যথাক্রমে স্বর্ণেন্দু মিত্র ও নীলাশিস বসু এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ১২টি ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশী আক্রমণকে তীব্র ধিক্কার জানায় অল ইণ্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। আমরা দাবি করি অবিলম্বে সমস্ত দোষী পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। অল ইণ্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সিঙ্গুরে শিল্পের দাবিতে সহমত না হলেও, সকলের জন্য শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দায় সরকারকে নেওয়ার দাবি আমরা জানাই এবং যে কোনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশের আক্রমণের আমরা বিরোধী এবং তীব্র ধিক্কার জানাই।