খবরা-খবর
কাশ্মীরী জনগণের সংহতিতে লন্ডনে প্রতিবাদ

৫ আগস্ট লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ জানাতে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিবাদ সংগঠিত করতে আহ্বান জানিয়েছিল ব্রিটেনে দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয় সংগঠন “ সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপ”। কাশ্মীরের বুকে ব্যাপক সেনা অভিযান, সম্পর্কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া, রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করে রাখা এবং সর্বোপরি গোপনে ষড়যন্ত্র করে বেআইনিভাবে সংবিধানের ধারা ৩৭০ ও ৩৫ক প্রত্যাহার করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টুকরো করে ফেলার মোদী সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই উপরোক্ত সলিডারিটি গ্রুপ সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছিল।

কাশ্মীরী জনগণের প্রতি সংহতি সমর্থন জানাতে, তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকারের সপক্ষে, ছাত্র সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন, নাগরিক সমাজের সংগঠন ও কাশ্মীরী গ্রুপ সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তারা জোরের সাথে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন চোরাগোপ্তাভাবে ৩৭০ ও ৩৫ক ধারা দুটি খারিজ করা হল কেন এবং কোন্ অধিকারে? বক্তারা বলেন, কাশ্মীরে গণতন্ত্র ও স্বাধিকার রক্ষার বিষয় নিয়ে এবং সেখানে মোদী সরকার যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে তার প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে তারা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

১৫ আগস্ট লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে “কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ানো”র সমাবেশ করে সাউথ এশিয়া সলিডারিটি গ্রুপ ও সাউথ ওভারসীস এশিয়া সলিডারিটির মতো প্রবাসী এশীয় সংগঠন। ঐ উদ্যোগের সমর্থনে সোচ্চার হয়ে সমাবেশিত হয় আরও কিছু সংগঠন। এমইপি নামে এক গ্রীন পার্টি, প্যালেস্তাইনের ও সুদান জনতার সংহতি প্রচার সংস্থা “ইমকান”, ব্রিটেনের কৃষ্ণাঙ্গ জনতার বৃহত্তম সংগঠন, এশীয় নারীদের সংগঠন সহ বহু ভারতীয় সংগঠন তথা ভারতীয় শ্রমিক সমিতি উপরোক্ত কর্মসূচীতে সামিল হয়।

সাউথ এশিয়া সলিডারিটি এক প্রচারিত বিবৃতিতে যেমন কাশ্মীরী জনগণের প্রতি সুগভীর সংহতি জানায়, তেমনি দলিত-আদিবাসী-মুসলিম ও মহিলাদের ওপর মোদী সরকার যে আক্রমণ চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়। মোদী তাঁর ১৫ আগস্টের ভাষণে খুব দাবি করেছেন তাঁর সরকারের গৃহীত কাশ্মীর পদক্ষেপে মহিলা, শিশু,আদিবাসী,দলিত সকলের ভালো হবে, সবাই উপকৃত হবে। কিন্তু কাশ্মীরি তরুণী-যুবতী নারীদের কথা হল, তাদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায় মোদী সরকারের কোনও প্রয়োজন নেই। মোদী আমল যে মহিলাদের রক্ষার বুলি আউরাচ্ছে, এ কোন নতুন ব্যাপার নয়, ইরাকে ও আফগানিস্তানে আগ্রাসনকারী ও দখলদারদের মুখেও একই বুলি শোনা যেত।

খণ্ড-26
সংখ্যা-29