মহারাষ্ট্র পুলিশ দাবি করেছে যে গত ১৩-১৪ নভেম্বর ২০২১ তারা গড়চিরোলি জেলার এক গ্রামে ২৬ জন মাওবাদীকে এনকাউন্টারে হত্যা করেছে।
এই ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছে সে সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট এসেছে এবং তথাকথিত এই এনকাউন্টার ও তৎপরবর্তি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিরা আর মন্ত্রীরা উল্লসিত বিবৃতি জারি করতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করেনি।
২৩ আগস্ট ২০১৪-তে 'পিইউসিএল বনাম ভারতের ইউনিয়ন' মামলার [(২০১৪) ১০ এসসিসি ৬৩৫] নির্দেশনামায় সর্বোচ্চ আদালত সুস্পষ্ট গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছিল যা পুলিশের দ্বারা সংঘটিত প্রতিটি এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে মেনে চলার কথা। এই গাইডলাইন অনুসারে গড়চিরোলি এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের বিচারকের অধীনে তদন্ত চালানো ছাড়াও এই এনকাউন্টারে যুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ এফআইআর দায়ের করে বাইরের কোন সংস্থা দ্বারা ফৌজদারি অনুসন্ধান চালানোর কথা। গাইডলাইনে আরও জোর দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণ হচ্ছে যে সত্যিই তাঁরা আত্মরক্ষা করতে একাজ করেছে ততক্ষণ পর্যন্ত যেন সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কোনোমতেই হঠাৎ করে প্রোমোশন দিয়ে দেওয়া না হয় বা তাদের বীর পুরস্কারে ভূষিত করা না হয়। গড়চিরোলি এনকাউন্টারে যুক্ত পুলিশকর্মীদের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক ৫১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা তাই আইনের উল্লঙ্ঘন এবং অবিলম্বে এই ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রভাত কুমার,
সিপিআইএমএল কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে