পোড়াঝাড়-কাওয়াখালি ভূমিরক্ষা কমিটি ও তিস্তা-মহানন্দা প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিরক্ষা কমিটির আহ্বানে ২৩ মে সহস্রাধিক মানুষের এক মিছিল ‘উত্তরকন্যা’ অভিযান করে। জমিহারাদের সমস্যা সমাধান, অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত, বর্গাদারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের এই মিছিলকে তিনবাত্তি মোড়ে পুলিশ আটকায়। ব্যাপক ধস্তাধস্তির পর মিছিলের মানুষেরা জাতীয় সড়কের উপর বসে পড়েন। অবরোধ স্থান থেকে ৭ জনের প্রতিনিধি দল উত্তরবঙ্গ ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এআইসিসিটিইউ’র পক্ষে বাসুদেব বসু, সিটু’র গৌতম ঘোষ, নকশালবাড়ি-মাটিগাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক শংকর মালাকার, এআইকেএমএস’এর পক্ষে অমল রায় প্রমুখ। বিস্তারিত আলোচনায় জানানো হয় অবিলম্বে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কমিটির সাথে বৈঠক না করলে ‘উৎসধারা’ আবাসন প্রকল্পের কাজ আটকে দেওয়া হবে। আধিকারিক দ্রুত বিষয়টির সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। অপেক্ষারত মিছিলের মানুষরা পার্শ্ববর্তী মাঠে জমায়েত হন। সেখানে বক্তব্য রাখেন নকশালবাড়ি আন্দোলনের প্রবীন যোদ্ধা শান্তি মুন্ডা, সারা ভারত কিষাণ মহাসভার পক্ষে পবিত্র সিংহ, নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী মুক্তি সরকার, মহানন্দা প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপদ সিংহ, বাসুদেব বসু, গৌতম ঘোষ, অমল রায়, ডঃ এ কে মিত্তল, শম্ভু সিং প্রমুখ। মিছিলে ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের দার্জিলিং জেলা নেতা মোজাম্মেল হক, শরৎ সিংহ, পৈসাঞ্জু সিংহ, সুমন্তী এক্কা, জলপাইগুড়ি জেলা নেতা শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।