২৩ মে কলকাতায় শ্রমিক ভবনে ২৭ দফা দাবি সনদের সমর্থনে চটশিল্পের ২১টি শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল। প্রথম বক্তা ‘বেঙ্গল চটকল মজদুর ফোরাম’এর রাজ্য সম্পাদক মাজহার খান বলেন, মিলগুলোতে কর্তৃপক্ষের মদতে গুন্ডারাজ চলছে। চটকল শ্রমিকদের নামমাত্র দৈনিক মজুরিতে কাজ করিয়ে নিচ্ছে, শ্রমিকদের কোনোরকম সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলে শ্রমিকদের গেট বাহার করে দেয়। এমনকি মিলে পুলিশ পিকেটও বসানো হয়। মিলের ভিতরে মালিকপক্ষ ‘বাউন্সার’ বা ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী আমদানি করেছে। যখন তখন শ্রমিকদের দৈহিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রতিটি প্রান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। শ্রমিকদের উপর মিল কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাচ্ছে। যে ২১টি ইউনিয়নের ডাকে কনভেনশন হল তারমধ্যে রয়েছে এআইসিসিটিইউ, সিআইটিইউ, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এআইইউটিইউসি ও অন্যান্য ইউনিয়ন।
কনভেনশনে শ্রমিক নেতৃত্বের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সাধারণ শ্রমিকরাও। শুরুতে প্রস্তাব পেশ করেন সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু। তিনি বলেন, কাঁচামাল অর্থাৎ কাঁচা পাটের অভাব দেখিয়ে ১৪টি চটকল বন্ধ। এরফলে ৫০ হাজারের কাছে শ্রমিক কর্মহীন। কিন্তু রাজ্যে এবার যথেষ্ট পরিমাণে কাঁচাপাটের উৎপাদন হয়েছে। আসলে একশ্রেণীর পাট ব্যবসায়ী এবং মিল মালিকের চক্রান্তে কাঁচামালের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিকরা। এর পাশাপাশি মজুরির প্রশ্নেও শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে।
কনভেনশন সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন অতনু চক্রবর্তী, দীপক দাশগুপ্ত, গণেশ সরকার, দেবাশীষ দত্ত, অমল সেন, দেবদাস চ্যাটার্জী, রামসুরত গিরি, সঞ্জয় রায়, রামনারায়ণ ঝা ও দীপক সাহা।
কনভেনশন থেকে আগামী দিনে পেশ করা দাবি সনদের ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হাওড়া-হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জেলা ভিত্তিক কনভেনশন করে একপ্রস্থ কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কনভেনশনে শ্রমিকদের উপস্থিতি ভালোই ছিল।