২৫ মে ১৯৬৭, ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি গণঅভ্যুত্থানের সূচনাকাল, ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিপ্লবী দিশা প্রদানের ঊষাকাল। ৫৫টি বছর পার করে উদযাপিত হল সেই নকশালবাড়ি দিবস। তরাইয়ের নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোত থেকে জঙ্গলমহলের হীরবাঁধ, কলকাতার কলেজ স্ট্রীট থেকে গঙ্গার দু'পাড়ের শিল্পাঞ্চল — রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলায় সমগ্র পার্টি সংগঠনকে সামিল করে উদযাপিত হল নকশালবাড়ি দিবস। পার্টির রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার ছিলেন নকশালবাড়িতে। কলকাতায় পার্টির রাজ্য অফিস চত্বরে কর্মসূচিতে ছিলেন সিনিয়র নেতৃস্থানীয় কার্তিক পাল। শহীদ বেদীতে মাল্যদান, শহীদ বেদী স্থাপন, মিছিল, আলোচনাসভা, পথসভা ইত্যাদি নানারূপে দিবসের অঙ্গীকার নেওয়া হয়, জনগণের স্বার্থে সংগ্রামের জন্য সংগঠিত হতে বার্তা দেওয়া হয়। সেইসাথে কিছু বিশেষ উদ্যোগ নজর কাড়ে। যেমন, বারাসাতে সত্তর দশকের শহীদদের স্মৃতিফলক প্রতিষ্ঠার অভিনব সূচনা-সভা করলেন শহরের সংগ্রামী অনুগামীরা, এখনও পর্যন্ত ৩২ জন শহীদের নাম পাওয়া গেছে যারা এই শহরেরই। বলাবাহুল্য, বারাসত গণহত্যার (আড়িয়াদহ-দক্ষিণেশ্বরের বিপ্লবী শহীদদের) স্মৃতিস্তম্ভ দু'দশকেরও বেশি আগে নির্মীত হয়। নকশালবাড়ি দিবসে অন্যদিকে হুগলির নবগ্রামের সত্তর দশকে গণহত্যার শহীদদের স্মরণ করা হয়। নকশালবাড়ি দিবসের আহ্বান অক্ষয় হয়ে থাকবে — শহীদের স্বপ্ন হবে নাকো ব্যর্থ। নকশালবাড়ি লাল সেলাম।