২৩ মে মিড-ডে-মিল রন্ধনকর্মীদের ডিএম ডেপুটেশন হয় হুগলী জেলায়। প্রখর রোদ, ট্রেন গন্ডগোল, সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে ধনিয়াখালি, পোলবা, দাদপুর, পান্ডুয়া থেকে কর্মীরা সমাবেশিত হয়েছিলেন চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে। সেখান থেকে পোষ্টার ব্যানার সহ মিছিল করে ডিএম দপ্তরে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মীরা ঘন্টা খানেক অবস্থান করেন। দাবি তোলেন, মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে, সরকারি কর্মচারীর স্বীকৃতি ও পরিচয়পত্র, ১০ মাস নয়, ১২ মাসের ভাতা দিতে হবে, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, উৎসবকালীন বোনাস দিতে হবে, ভবিষ্যত সুরক্ষা প্রকল্প ভুক্ত করতে হবে, কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামত ছাঁটাইয়ের হুমকি বন্ধ করতে হবে, সরকার ঘোষিত প্রশিক্ষণ বাবদ প্রত্যেককে ৫০০ টাকা ও সার্টিফিকেট অবিলম্বে দিতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে-মিলে দৈনিক ১০ টাকা বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়।
আধিকারিক অনেকটা সময় দিয়ে প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সবকিছু শোনেন। এবং তখনই তাঁদের আটকে থাকা প্রাপ্য টাকা সহ আরও কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে ডেকে পাঠান এবং তা দ্রুত কার্যকরি করতে নির্দেশ দেন। ৭-৮ জুন রন্ধনকর্মীদের কলকাতায় অবস্থান কর্মসূচির কথা শুনে তাকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ধনিয়াখালির ঝর্ণা মালিক, পোলবার সবিতা পাকিরা, পান্ডুয়ার ছবি টুডু ও ইউনিয়নের জেলা সভানেত্রী চৈতালি সেন। গণডেপুটেশন বেশ উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। রন্ধনকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন, কলকাতার অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে তাঁরা সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবেন ।
এই দিনই ডিএম দপ্তরে বেশ কিছু মহিলা ধর্ণায় বসে ছিলেন। জমায়েত দেখে বক্তব্য শুনে তাঁরা এসে বললেন, “আমরাও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ২০১০ সালে আমাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে, কিন্তু এখনো নিয়োগপত্র পাইনি”, তাঁরা আরও বলেন, “আমাদের জন্য কিছু করুন”। তাঁদের ৭ জুন কলকাতায় আসতে আবেদন জানানো হয় যাতে কথা বলা যায়।
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয়, ব্লক ও জেলাস্তরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে সংগঠনের যেমন বিস্তার ঘটে তেমনি সদস্যদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।