চলবে না রামের নামে উন্মাদনা - পাথেয় হোক রামমোহনের অনুপ্রেরণা
Ram will not work

এই বার্তা তুলে ধরে গত ২২ মে ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মের ২৫০তম বর্ষপূর্তিতে হুগলি জেলার খানাকুল ১নং ব্লকের রাধানগর গ্রামে (জন্ম ভিটা) ও পার্শ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামে (সামাজিক অনুশাসনের বিরুদ্ধে যাওয়ায় পরিবার থেকে ত্যাজ্যপুত্র হয়ে নির্মীত বসতবাড়ি) গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানায় সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, ছাত্র সংগঠন আইসা, পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদ, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি ও বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশন। সঙ্গে ছিলেন নৈহাটির অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীরা। সতীদাহ প্রথায় নিজের বৌদির নির্মম পরিণতি দেখে রামমোহন নিজেদের পারিবারিক শ্মশানের যে স্থানে দাঁড়িয়ে এই বর্বর প্রথা বন্ধের সংকল্প করেন সেই বেদী ও সংলগ্ন মূর্তিতে মাল্যদান করে কোরাস গানে বসতবাড়ি এলাকায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেন সংগঠনগুলোর সদস্যরা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আইসার রাজ্য সভাপতি নিলাশিস বসু। সঙ্গীত পরিবেশন করেন নীতিশ রায়, সরিৎ চক্রবর্তী, মাধব মুখার্জী প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন পার্টির হুগলি জেলা কমিটির সদস্য সৌরভ রায়। উপস্থিত ছিলেন সুব্রত সেনগুপ্ত, দেবব্রত ভক্ত, প্রবীর হালদার, ভিয়েত ব্যানার্জী, প্রদীপ সরকার, দুর্গা রায়, কৃষ্ণা পাল, সুষমা মুখার্জী, অতনু, রণজয়, বর্ষা, সঙ্কেত, শুভ সহ অন্যান্যরা। সকলের সমবেত কন্ঠস্বরে মুখরিত হয়ে ওঠে রামমোহনের আম্রকুঞ্জ। সঙ্গীত স্রষ্ঠা রামমোহনকে পরিচয় করান সুব্রত সেনগুপ্ত।

এছাড়াও এদিন পার্টির ব্যান্ডেল-চুঁচুড়া অঞ্চলের কর্মীরাও তাঁদের এলাকায় ভারত পথিককে শ্রদ্ধা জানান। চুঁচুড়া হসপিটাল রোডে রামমোহন রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করেন সুদর্শন বসু, কল্যাণ সেন, সনৎ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য কমরেডরা। বক্তারা বলেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও আধুনিকতাকে ধবংসকারী শক্তির বিরুদ্ধে রামমোহন রায় আমাদের প্রেরণা! রামমোহন রায়ের আধুনিকতাকে এগিয়ে নিয়ে চলা ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার শ্নোগান ওঠে।

কলকাতায় যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সাথে পালন করা হয় ভারত পথিক রামমোহন রায়’এর সার্ধ দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী। ২২ মে দুপুরে, কলকাতা জেলা পার্টি কমিটি, আইপোয়া, আইসা’র পক্ষ থেকে রামমোহন রায় সরণিস্থিত রামমোহন রায়ের বাসগৃহে তাঁর আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। মাল্যদান করার পর তাঁর অবদান নিয়ে দু’চার কথা বলেন বাসুদেব বোস, অতনু চক্রবর্তী, চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী ও ইন্দ্রানী দত্ত।

খণ্ড-28
সংখ্যা-20