২০১৯ সালের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি ১ লক্ষ জীবিত বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে মাতৃ-মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-তে নামিয়ে আনা। সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, ২০১৯ সালে মাতৃ-মৃত্যুর হার (এমএমআর) কমে ১০৩-এ দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় স্তরের এমএমআর ছিল প্রতি ১ লক্ষ জীবিত বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে ১১৩।
তবে, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে এমএমআর এই সময়ে আরও খারাপ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মতো জনবহুল রাজ্যগুলি তাদের এমএমআরে যথাক্রমে ৩০, ২৩, ১৯ এবং ১০ পয়েন্ট হ্রাসের সাথে বড় উন্নতি দেখিয়েছে। উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও এই রাজ্যগুলিতে এখনও এমএমআর অনেক বেশি রয়েছে।
মাতৃ-মৃত্যু হল একটি প্রধান স্বাস্থ্য নির্দেশক যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতি ১ লক্ষ জীবিত বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে মাতৃ-মৃত্যুর সংখ্যা দেখায়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, “গর্ভাবস্থায় বা গর্ভাবস্থার সময়কাল এবং স্থান নির্বিশেষে, গর্ভাবস্থা বা এর ব্যবস্থাপনার কারণে বা তার ক্রমবর্ধমান কোনো কারণে, গর্ভাবস্থায় বা গর্ভধারণের ৪২ দিনের মধ্যে একজন মহিলার মৃত্যু হল মাতৃ-মৃত্যু। কিন্তু আকস্মিক বা আনুষঙ্গিক কারণ থেকে মৃত্যু হলে তা ধরা হয় না।”
জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত উন্নয়নের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী মাতৃ-মৃত্যুর হার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি ১ লক্ষ জীবিত বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে ৭০-ের কম করা। ভারত এখন ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে।
সর্বনিম্ন এমএমআর সহ শীর্ষ রাজ্য হল কেরালা, যা নাটকীয়ভাবে ৪৩ থেকে ৩০-এ উন্নীত হয়েছে। কেরালার পরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই রাজ্যগুলির কোনওটিই কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বারা শাসিত নয়৷
অন্যদের মধ্যে, ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশে মাতৃ-মৃত্যুর হার ১০ পয়েন্ট কমে ১৬৩ হয়েছে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসআরএস) অনুসারে, ২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশে এমএমআর ছিল ১৭৩। পশ্চিমবঙ্গে এমএমআর উদ্বেগজনকভাবে ১১ পয়েন্ট বেড়ে ২০১৭ সালের ৯৮ থেকে ২০১৯ সালে ১০৯ হয়েছে।
- নিউজ ক্লিক, ১৪ মার্চ ২০২২