রামপুরহাটে গণনিধনের পরের দিন ২২ মার্চ ২০২২ সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির এক প্রেস বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় – রাজ্যজুড়ে, প্রতিবাদী যুবক, নির্বাচিত রাজনৈতিক কর্মীর একের পর এক হত্যার ঘটনায় রাজ্যবাসী চিন্তিত, ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। পুলিশ ও শাসক দলের রাজনৈতিক মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীরা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে উঠে-পড়ে লেগেছে। এই প্রেক্ষাপটে ২১ মার্চ সন্ধ্যায় রামপুরহাটের বগটুইয়ে গ্রামে বিবাদমান গোষ্ঠীর বোমায় নিহত হন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ। বছর খানেক আগে ভাদু শেখের ভাইও খুন হয়েছিলেন। সে খুনেরও কোন বিচার হয়নি। বাদু শেখের মৃত্যুর খবর গ্রামে আসতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ পিকেট বসে। পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও গভীর রাতে ৭-৮টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। অগ্নিদগ্ধ একটি বাড়ি থেকেই ৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দমকলের হিসেবে ৬ জন মহিলা ও ২টি শিশু সহ ১০ জন অগ্নিদগ্ধের দেহ উদ্ধার হয়। রাজ্য পুলিশের প্রধান ৮টি মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন।
অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী এই হত্যা ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন। অথচ সুকৌশলে টিভি’র শর্ট সার্কিটে আগুন লেগেছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে রামপুরহাটের এই গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। শাসক দলের ক্ষমতার বৃত্তে আকণ্ঠ জড়িয়ে পড়া রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ অধিকারিকরা এই ধরনের হত্যা/গণহত্যায় যুক্ত হয়ে পড়ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এবং তা নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাজ্যজুড়ে শাসক দলের এই রাজনৈতিক সন্ত্রাস, এবং হত্যা/গণহত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ও শান্তিপ্রিয় জনগণকে সোচ্চার হতে হবে।