নীতিশ কুমার বিজেপি'র বিদ্বেষপূর্ণ অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সমস্তিপুরের খলিল রিজভি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরাতে ওনার স্ত্রী ফোনে খলিলের সাথে যোগাযোগ করেন। তাঁদের কথা বলার সময় খলিলের ফোন ছিনতাই হয় এবং ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কোনও সুত্র না পেয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি মুসিরঘরারই থানায় একটি নিরুদ্দেশ মামলা দায়ের করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সন্দেহভাজন বিপুল ঝা-কে গ্রেফতার করে। বিপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে রাজেশ মিশ্র, কিসান ঝা এবং অন্যান্যরা মিলে খলিলকে একটি মুরগি খামারের ভিতরে খুন করে ও তার দেহ পুঁতে দেয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে এবং যথাযোগ্যভাবে খলিলের দেহ পুনরায় কবর দেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি সমাজ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা গেছে খলিলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং তার দেহ পোড়ানো হয়েছে।
সিপিআই(এমএল)-এর বিধানসভা পরিষদীয় নেতা মেহবুব আলম বলেন, নীতিশ কুমার বিজেপি’র কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছেন তাই তিনি তাঁর নিজের দলের একজন মুসলিম নেতাকে গণপেটাই-এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না এবং ঐ অপরাধীরা তাঁর নিজেরই দলের গুন্ডা। ঐ গুন্ডারা একজন জেডিইউ বিধায়ক ও বিহার শিক্ষামন্ত্রী বিজয় চৌধুরীর মদতপুষ্ট। জেলা প্রশাসন গণ-পেটাইয়ে হত্যার অভিযোগ নাকচ করে এবং নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে এই ঘটনাকে নিছক উৎপীড়নের মামলা বলে অভিহিত করছেন।
সিপিআই(এমএল)-ইন্সাফ মঞ্চের একটি টীম ইন্সাফ মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কেয়ামুদ্দিন আনসারির নেতৃত্বে খলিল রিজভির গ্রাম ঘুরারইয়াতে ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিদর্শনে যান। তাঁরা খলিলের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের দাবি করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ইন্সাফ মঞ্চ, সিপিআই(এমএল) এবং আরওয়াইএ একটি প্রতিবাদী সভা করেন।
সমস্তিপুরের গণ-পেটাই-এর দ্রুত বিচার, অপরাধীদের শাস্তির দাবি করলো সিপিআই(এমএল)
২৭ ফেব্রুয়ারি সিপিআই(এমএল)-এর একটি টীম, পলিটব্যুরো সদস্য ধীরেন্দ্র ঝা এবং পরিষদীয় নেতা মেহবুব আলম অকুস্থল সমস্তিপুরের মুসরিঘরারই-এ তদন্তে যান। তাঁরা খলিলের পরিবার এবং রুপাউলি বুর্জ গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা বাসুদেবপুর গ্রামের মুরগী খামারে যেখানে খলিলকে বন্দী করে রাখা হয় ও পরে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় সেই স্থান পরিদর্শন করেন।