২৭ ফেব্রুয়ারি সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের বিহার রাজ্য সম্পাদক কুণাল এক বিবৃতিতে বলেন, মধুবনির বিসফি’র বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর জনসমক্ষে অ-সাংবিধানিক এবং মুসলিম বিদ্বেষী বিবৃতিতে বলেছেন মুসলিমদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। তাই এই বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। সিপিআই(এমএল) বিধায়করা বিহার বিধানসভায় এই ইস্যুতে প্রতিবাদও করেছেন।
কুণাল বলেছেন, আরএসএস-বিজেপি সারা দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল সমস্তিপুরে খলিল রিজভি’কে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। হিজাবের অজুহাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে এবং সম্প্রতি বিহারেও হিজাবের জন্য এক মুসলিম মহিলাকে হয়রানি করা হয়েছে।
আরএসএস-বিজেপি’র মনে রাখা উচিত যে স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই সমান অংশীদারিত্ব ছিল। তাই শহীদত্ব বরণে এবং ঐতিহ্যের ওপর কোনও আঘাত আমাদের দেশ কখনও মেনে নেবে না। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যদি কারও কোনও অবদান না থেকে থাকে তবে তারা হলো, আরএসএস — যারা তাদের গঠনের সময় থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম এই দুই ভিন্নরাষ্ট্রের তত্ত্ব প্রচার করে এসেছে।
ভারতীয় সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ধর্ম, জাতপাত, লিঙ্গ এবং ভাষা ব্যতিরেকে সমানাধিকার দিয়েছে — তাই মুসলিমদের ভোটাধিকার বাতিল করার অর্থ হল সংবিধানের ওপর আঘাত হানা।