পাটনায় নৃত্যকলা মন্দিরে ৯ মার্চ রোজগার অধিকার মহাসম্মেলন সংগঠিত হল রোজগার সংঘর্ষ সংযুক্ত মোর্চার ব্যবস্থাপনায়। ২৪টির বেশি সংস্থার চাকরিপ্রার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
কনভেনশনের আগে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন বিধায়ক মনোজ মঞ্জিল এবং সন্দীপ সৌরভ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বিএসএসসি ২০১৪’র জন্য সমস্ত কিছু সম্পূর্ণ করেও সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হলো না এবং তাদের নিয়োগপত্রও দেওয়া হলো না। সেনাবাহিনীর উর্ত্তীর্ণযোগ্য প্রার্থীদের অবস্থাও দীর্ঘদিন ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। এসটিইটি ২০১৯’র সফল প্রার্থীদের নিয়োগ আদালতে বিচারাধীন, কারণ শিক্ষা দফতর ও শিক্ষামন্ত্রীর নীতিলঙ্ঘন করা ঘোষণার জন্য। সিটিইটি’তে সফল প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। বিহার সরকার ২ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি খালি শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ করছেন না। একদিকে যুব সম্প্রদায় কর্মসংস্থানের অভাবে হয়রান হচ্ছেন অন্যদিকে ছাত্র সম্প্রদায় শিক্ষকের অভাবে দুর্ভোগে পড়ছেন।
যে বিজেপি-জেডিইউ সরকার ১৯ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা দু’বছর ধরে ‘তথ্য-সংগ্রাহক’ কর্মীদের থেকে কাজ আদায় করে তাদের ফের কর্মহীন করেছেন। দেশে এখন বেকারত্ব শীর্ষে রয়েছে। বিহারে স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি ৫৩.২ শতাংশ। বিহার সরকার এখন পুরোপুরি কর্পোরেট-মুখী কর্মসূচি নিয়ে চলছে। চুক্তিপ্রথায় কর্মী নিয়োগ চলছে ও তাদের শ্রম শোষণ হচ্ছে।
আমাদের দাবি সমস্ত বকেয়া নিয়োগ অবিলম্বে সম্পূর্ণ করতে হবে এবং নিয়োগের তারিখসহ সূচি প্রকাশ করতে হবে। সমস্ত কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপনে জানাতে হবে কোন নির্দ্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে এবং এই তারিখ লঙ্ঘিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সমস্ত প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার ফলাফলে স্বচ্ছতা রাখতে হবে এবং উত্তরপত্র প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিহারের প্রত্যেকটি দফতরের শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ ও সেগুলি ভর্তি করার কর্মসূচি জানাতে হবে। কর্মসংস্থান ও নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বিহার বিধানসভায় একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এআইএসএ জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সৌরভ, আরওয়াইএ জাতীয় সভাপতি মনোজ মঞ্জিল, অনিয়োজিত কার্যপালক সহায়ক সন্তোষ গুপ্তা, আমীন বহালি’র শশী শেখর, সিপাহী বহালি ২০০৯’র রোশন কুমার, সাংখ্যিকি স্বয়ংসেবক’এর অভিষেক, স্পেশাল সার্ভে আমীন বহালি’র অংশু কুমার, এমটিইটি নন মেরিট’এর দীপক কুমার এবং প্যারা-মেডিক্যাল ছাত্র সমিতি’র বিশাল কুমার।