পবন শর্মা, বিহারস্থিত বর্ষীয়ান সিপিআই(এমএল) লিবারেশন নেতা পবন শর্মা গত ৩০ জানুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন। তার আগের দিন তিনি আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাটনায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাষ্টি করা হয়, তবে অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। তবু আশা করা যাচ্ছিল শঙ্কা কাটিয়ে উঠবেন। কিন্তু সমস্ত আশার বিপরীতে পরদিন বিকাল নাগাদ পবনজী চিরবিদায়ের পথগামী হয়ে যান।
কমরেড পবন শর্মা বিহারের ভোজপুর ও মগধ অঞ্চলে ১৯৮০ ও ’৯০ দশকে গ্রামীণ গরিব ও কৃষক জনতার বহু বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একইসাথে পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা ও তাকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য তাঁর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দীর্ঘসময় যাবৎ সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন, বিহার রাজ্য সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ গরিবদের সমিতির। পার্টিতে তিনি “পবনজী” নামেই সম্বোধিত হতেন।
প্রয়াত পবন শর্মার মরদেহ নিয়ে আসা হয় পার্টির বিহার রাজ্য শাখার অফিসে, অন্তিম শ্রদ্ধা ও বিদায় জানানোর জন্য। পরদিন ৩১ জানুয়ারি পার্টি সংগঠন, গণসংগঠন সমূহের নেতা-কর্মী-সমর্থক সারির লোকজন অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর প্রয়াত কমরেডের মরদেহ নিয়ে মিছিল বের হয় শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে। কমরেড পবন শর্মার অন্তিম যাত্রায় সহযাত্রী হন পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
লাল সেলাম কমরেড পবন শর্মা, লাল সেলাম।