সৌমিতা দাস চৌধুরী। ডাক নাম মেধা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী। ছোট থেকেই সমাজ মনস্ক। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই প্রতি বছর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব এমনকী শিক্ষিকার কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় বিলি করত। বছর দুয়েক আগে আমফানের পরপরই তৈরি করে ‘গাছের জন্য গান’ নামে একটি সংগঠন। উদ্দেশ্য, গাছের পর গাছ আর গাছ লাগিয়ে দূষণ মুক্তি ঘটাবে। যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গড়ে তোলে সংগঠন। ৩৫,০০০ গাছ লাগিয়েছে ওরা সুন্দরবন অঞ্চলে। তারপর জনসচেতনতার জন্য গানের অ্যালবাম করে প্রচারের উদ্যোগ নিল। নিজেরাই গান লিখত, গাইত আর প্রচার করত। ১২ ফেব্রুয়ারি হাবরাতে অ্যালবামের জন্য শ্যুটিং ছিল। ছটার মধ্যে পাঁচটা গানের শ্যুটিং শেষ। শেষ গানের লিড সিঙ্গার মেধা। প্রস্তুতি চলছে। একটা নারকেল গাছের নীচে চেয়ারে বসেছিল মেধা গিটার হাতে। মুহূর্তে ভেঙে পরে গাছটি। নাক, কান, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি মেধা। যেতে যেতেই সব শেষ।
অফুরন্ত প্রাণশক্তি ছিল মেধা। অনেক আশা ছিল ওকে নিয়ে।
মলয় দাস চৌধুরীর ছোট মেয়ে ছিল মেধা। দিদি আদৃতা, মা শুভ্রা, এই নিয়ে ওরা। ঠাকুমা বয়সের ভারে ক্লান্ত ।
সান্ত্বনা জানানোর ভাষা নেই। ওর স্মরণ অনুষ্ঠান করবে ওর প্রিয় বন্ধুরা, ওর সংগঠনের প্রিয় সাথীরা। আপনাদের জানাবে।