আমতার প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খাানের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সমগ্র ঘটনার বিচার-বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে মহকুমা শাসক দপ্তর পর্যন্ত সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হাওড়া জেলা কমিটির আহ্বানে সংগঠিত হয় এক জঙ্গী মিছিল।
মিছিলে ছাত্র-মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল ভালো মাত্রায়। দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানানোর সাথে সাথে তৃণমূল সরকারকে ধিক্কার জানানো হয়। উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক দপ্তরের গেটের সামনে সমাবেশিত হয়ে দীর্ঘক্ষণ সভা চলে। সমাবেশ থেকে পাঁচ জনের প্রতিনিধিদল পার্টির হাওড়া জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন আইসার রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু মিত্র ও পার্টির রাজ্য কমিটির নেত্রী কল্যাণী গোস্বামী, জেলার মহিলা ও ছাত্র সংগঠক যথাক্রমে সেরিনা সেখ ও অঙ্কিত মজুমদার।
মহকুমা শাসককে ঘটনাকেন্দ্রীক প্রশ্ন করা হলেও তার কোনো সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। এর প্রতিবাদে সভায় বিস্তারিতভাবে বক্তব্য রাখা হয়। সভায় রাজ্য কমিটির বর্ষীয়ান মীনা পাল, জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত, শহীদ ছাত্র আনিসের বন্ধু ওহায়িদ, এন এন ব্যানার্জি, অঙ্কিত মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন নিলাশিস বসু। আনিসের হত্যাকারীরা শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে — এই অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সভা।
আনিস খানের হত্যার বিরুদ্ধে, দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বেলঘরিয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারি নাগরিক মিছিল হয়। বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কালচারাল মোর, নন্দন নগর বাজার হয়ে স্টেশনে শেষ হয়, প্রায় চার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে।
২২ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস বিবৃতিতে এআইএসএ (আইসা) জানিয়েছে, আনিস খান হত্যার বিরুদ্ধে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ডাকে মহাকরণ অভিযানে তৃণমূল সরকারের পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ ও ছাত্রীদের ওপরেও পুরুষ পুলিশ কর্মীদের আক্রমণকে ধিক্কার! আইসা কর্মী সায়ন্তন ও অর্পণ সহ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।