প্রতিবেদন
আধুনিক শিল্প ও শ্রমের পরিবর্তিত দুনিয়া
modern art and labor

সম্প্রতি কলকাতায় ‘স্যুইগি’র ডেলিভারি কর্মীরা কিলোমিটার প্রতি কমিশন বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। গতবছর পুজোর সময়ে ‘আর্বান কোম্পানি’র বিউটিশিয়ানরাও বেশ কিছুদিন কর্মবিরতি করেছিলেন। নানা প্রশ্নে ক্যাব চালকদের আন্দোলনের কথাও আজকাল হরদম শোনা যায়। সব মিলিয়ে, যাদের আমরা ‘গিগ শ্রমিক’ বলি, তাদের আন্দোলন ও দাবি-দাওয়া ক্রমেই এদেশে ও সারা বিশ্বে এক জোরালো প্রবণতা হয়ে উঠছে।

অনুমান, ভারতে গিগ শ্রমিকদের বর্তমান সংখ্যা দেড় কোটিরও অধিক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রাজনৈতিক-অর্থনীতির দ্রুত বিকাশে এই সংখ্যা অচিরেই বহুগুণ বর্ধিত হবে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু গিগ শ্রমিকদের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়নও গঠিত হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে বিষয়টি শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক নতুন দিককে আলোকিত করতে চাইছে। বুঝতে হবে, অদূর ভবিষ্যতে এই গিগ শ্রমিকেরাই শ্রমবাহিনীর সংখ্যাধিক্য অংশ হয়ে উঠবে এবং এদের কেন্দ্র করেই হয়তো শ্রমিক আন্দোলনের নতুন উত্থান হতে পারে। এদের কাজকর্মের আঙ্গিক এমনই যে কাজের সর্বোচ্চ ঘন্টা, ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি যে অধিকারগুলি শ্রমিক আন্দোলন গত শতকে অর্জন করেছিল, তা আর তেমনভাবে প্রাসঙ্গিক থাকছে না। কাজের ধরনটাই হয়ে উঠছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত এমন এক অ্যালগরিদম-নির্ভর ব্যবস্থাপনা যেখানে বেশি সময়ের কাজের ওপর বেশি আয়ের সম্ভাবনা নিহিত আছে। তদুপরি, এই বেশি সময় ধরে কাজের বোঝাটাও আপাতদৃষ্টিতে ‘কোম্পানি কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া’ নয়, বরং ব্যক্তি শ্রমিকের ‘স্বইচ্ছায় স্বতঃপ্রণোদিত’। গত ২০১৯ সালে জুলাই থেকে নভেম্বর জুড়ে ‘ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ অ্যাপ-বেসড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স’ (আইএফএটি) এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন’ (আইটিএফ) ভারতবর্ষের ছ’টি রাজ্যে ‘ওলা ও উবের’এ কর্মরত ড্রাইভারদের ওপর এক সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় প্রকাশ, ড্রাইভাররা প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা গাড়িতেই কাটান এবং ৮৯.৮ শতাংশ ড্রাইভার দৈনিক ৬ ঘন্টারও কম সময় ঘুমোতে পারেন। উপরন্তু, ৯৫.৩ শতাংশ ড্রাইভার জানিয়েছেন যে তাঁদের দুর্ঘটনা-জনিত অথবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও ধরনের বীমার ব্যবস্থাই কোম্পানি করে না।

একই অবস্থা অন্যান্য অ্যাপ-বেসড (জোম্যাটো, স্যুইগি, আর্বান কোম্পানি প্রভৃতি) কর্মীদের ক্ষেত্রেও। যেহেতু এঁরা কোম্পানির পার্টনার হিসেবে কাজ করেন এবং ব্যক্তিগত স্তরে এঁদের নিজস্ব পরিকাঠামো থাকাটা বাঞ্ছনীয় (যেমন বাইক অথবা গাড়ি ও তার আনুষঙ্গিক খরচাপাতি), সেইহেতু অধিকাংশ সময়েই এই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ও বজায় রাখতে তাঁদের বাজার থেকে ঋণ করতে হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গিগ শ্রমিকদের ৬৫.৭ শতাংশই এই ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে দ্বিতীয় ঋণের পথে পা বাড়ান, প্রথম ঋণটি শোধ করার জন্য। এইভাবে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়াও তাঁদের নিয়তি এবং অবস্থা বিশেষে ঋণ পরিশোধে মরীয়া হয়ে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা কাজ করতেও (বিশেষত গভীর রাতে কারণ তখন ইনসেন্টিভের হার বেশি) তাঁদের বাধে না। এই অসহনীয় অবস্থা থেকে প্রাথমিকভাবে বেরনোর জন্য আইএফএটি’র তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিআইএল করে কর্মীদের কোম্পানির পার্টনারের বদলে কর্মচারীর স্বীকৃতির অধিকার চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ইউকে’তে গিগ শ্রমিকেরা কোম্পানির ‘শ্রমিক’এর মর্যাদা অর্জন করেছেন এবং সামাজিক সুরক্ষা লাভেরও অধিকারী হয়েছেন।

কিন্তু সমস্যাটা আরও গভীরে নিমজ্জিত। একদিকে সাবেক শিল্পগুলি উৎপাদনশীলতার দৌড়ে মজুরি খরচে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ও মুনাফার পড়তি হারের কারণে যখন ধীরে ধীরে অর্থনীতির মানচিত্র থেকে বিদায় নিচ্ছে, তখন স্বভাবতই নতুন যে ক্ষেত্রগুলির উদ্ভব হচ্ছে সেখানে উন্নততর প্রযুক্তির সহায়তায় মজুরি খরচ কমিয়ে কাজের যে রীতি বা আঙ্গিকটি নির্মিত হচ্ছে তা ভিন্নতর। যেভাবে আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের দুনিয়া অতিক্রম করে পা রেখেছি পরিষেবা শিল্পের বর্ধিত দুনিয়ায়, অথবা তার পরবর্তীকালে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে এবং গত দু’দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত এক নবতর পরিসরে, সেখানে স্বাভাবিক যে চিরায়ত শিল্পের আধারটি আর বলবৎ থাকছে না। বরং, আগুয়ান ও দুরন্ত প্রযুক্তির অভিষেকে আমরা শিল্পের এমন এমন আঙ্গিক পাচ্ছি যা শ্রম সম্পর্কের পুরনো রীতিগুলিকে বদলে দিতে চাইছে। যেমন,

১) অফুরন্ত ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে কাজের সুবাদে মানুষে মানুষে শারীরিক নৈকট্যের প্রয়োজন যেহেতু অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে, অতএব, দূরবর্তী প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত অ্যালগরিদমই এখন কাজের প্রধান চালক
হিসেবে আবির্ভূত।

২) পাশাপাশি, উপযোগিতার নানা ধরনের নতুন নতুন ক্ষেত্র উদ্ভবের ফলে এমন সব কাজের পরিসর তৈরি হয়েছে, যা আগে কখনও কেউ প্রত্যক্ষ করেনি। যেমন, এই যে ঘরে-অফিসে খাবার কিংবা যে কোনও পণ্যের ডেলিভারির এক সর্বজনীন ব্যবস্থা বা উপযোগিতা আজ নতুনভাবে উদগত হওয়ায় একদিকে কাজের নতুন পরিসর নির্মিত হয়েছে, অন্যদিকে এই ডেলিভারি ব্যবস্থাপনাটাই এক নতুনতর শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই ডেলিভারির কাজ যখন সার্বিকভাবে ড্রোন-ব্যবস্থার হাতে চলে যাবে, তখন হয়তো এত কর্মীকুলের (ডেলিভারি বয়) আর কোনও প্রয়োজন থাকবে না। একইভাবে চালক-বিহীন গাড়ির সর্বজনীন প্রচলনে এত এত ড্রাইভার-কর্মীদেরও আর কোনও দরকার পড়বেনা। কিন্তু, এই সূত্রেই কর্মের হয়তো আবারও আপাত নতুন কোনও জগৎ তৈরি হবে যেখানে মনুষ্যশ্রমের চাহিদা বাড়বে।

৩) সার্বিকভাবে, গোটা বিশ্বেই শ্রমের বাজারে মনুষ্য নিয়োগের হার কমে আসবে। অন্যথায়, গড় মজুরি কমতে থাকবে। কোনও বিশেষ পরিস্থিতি বাদ দিলে, এই প্রবণতাই বরাবর বজায় থেকেছে। মাঝে দুটি বিশ্বযুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংস ও ফলত নবনির্মাণের অভিঘাতে এই প্রবণতায় একটা ছেদ পড়েছিল।

আসলে, এইভাবেই প্রযুক্তির উদ্ভাবনের প্রেক্ষিতে বদলে যাচ্ছে কর্মের জগৎ ও শিল্পের আঙ্গিক। বলাই বাহুল্য, গত ৪০-৫০ বছরে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গতিতে এক অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এসেছে। বিশেষত গত শতকের ৯০’র দশকে তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়া ও ইন্টারনেটের যুগপৎ আবাহনে এক ব্যতিক্রমী গতিতে শিল্পের আঙ্গিক ও রাজনৈতিক-অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটে চলেছে। সেইসঙ্গে তৈরি হচ্ছে শ্রম সম্পর্কের নতুন ভূমি। এই যে কর্মরত অ্যাপ-বেসড কর্মীকুল এদের কোম্পানির পার্টনার থেকে কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি কি আদপে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের এক বড় জয় বলে মান্য হবে? মনে রাখতে হবে, অতীতে কারখানাভিত্তিক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের যে অনুশীলন তা অনেক বেশি স্থিতিশীল ছিল; চালু কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে মালিকের লোকসান। কারণ, একটি ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প গড়ে তোলার খরচ ও সময় এতটাই দীর্ঘ ছিল যে এক শিল্প থেকে অপর শিল্পে স্থানান্তর বেশ কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। এই আপেক্ষিক স্থায়িত্ব একটি চালু কারখানাকে শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেও রসদ জুগিয়েছিল এই অর্থে যে দীর্ঘদিন অবধি লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অবকাশ সেখানে ছিল। আজ সে দিন গিয়েছে। আজ পরিষেবা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল ভুবনের শিল্পসমূহ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পকে ছাপিয়ে প্রধান সড়ক অধিকার করেছে, সমাজ-অর্থনীতিতে মূল্যপ্রাপ্তি ও মূল্যযোগেও অধিকাংশ জায়গা করায়ত্ত করেছে, ফলে অনস্বীকার্য যে, এই আধুনিক শিল্প-অর্থনীতি সময়ের গতিকে দাসানুদাসে পরিণত করেছে। পুঁজি ও কর্মপরিসর আজ এতটাই নমনীয় যে নিমেষের মধ্যে এক ক্ষেত্র থেকে আরেক ক্ষেত্রে যাতায়াত চোখের পলকের চেয়েও দ্রুততর। শ্রমিক আন্দোলনের সেই দীর্ঘস্থায়ী অবকাশও, অতএব, বিলুপ্ত। আজ পরিস্থিতি এমনই যে, কোনও কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক আন্দোলন দানা বাঁধতে না বাঁধতেই পুঁজি সেখান থেকে অপসৃত হচ্ছে, কাজ গুটিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপস-মীমাংসার জন্য শ্রমিক বা কর্মরতদের সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা চলছে না, তা নয়, কিন্তু ওই পর্যন্তই; বেশি দীর্ঘস্থায়ী হলেই পুঁজি পাততাড়ি গোটাতে তৎপর। বিপ্রতীপে, শ্রমিক বা কর্মীরাও পুঁজির নমনীয়তাকে অনুসরণ করে গড়ে উঠতে থাকা অন্যান্য কর্মজগতে (হয়তো কোনও স্টার্ট-আপ) বেশি সুবিধা, মজুরি, কমিশন ইত্যাদির টানে ধাবিত হচ্ছে। এই প্রবণতা ইদানিং বেশ শক্তিশালী, যা সারা বিশ্ব জুড়েই ‘গ্রেট রেজিগনেশন’ হিসেবে সুবিদিত হয়েছে, যেখানে দলে দলে কর্মীরা তাঁদের পুরনো কাজ ছেড়ে নতুন কোথাও যোগ দিচ্ছেন অথবা নিজেদের কোনও উদ্যোগ গড়ে তুলছেন।

world of modern art and labor

এই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যূনতম মজুরি, সর্বোচ্চ কাজের ঘন্টা, সামাজিক সুরক্ষা — এইসব দাবিদাওয়ায় আজকের অ্যাপ-বেসড ও অন্যান্য আধুনিক কোম্পানিগুলি কতটা দায়বদ্ধ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ, এইসব পুরোপুরি মানতে গেলে তাদের বাণিজ্য-রীতির অ্যালগরিদম’টাই যে বিফলে যাবে! হয়তো, চালু বাণিজ্যের স্বার্থে কিছুটা তারা আপস করবে কিন্তু সবটাই কখনও নয়। এমনিতেই দেখা যাচ্ছে, শিল্পের অন্যান্য শাখাগুলিতেও শ্রমিক আন্দোলন বেশ দুর্বল এবং কতকটা সমঝোতা করেই শ্রমিকদের দিন গুজরান হচ্ছে। তারমধ্যে কোভিড পরিস্থিতি গোটা বিষয়টাকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং ইতোমধ্যেই নীরবে-নির্জনে বহু শ্রমিকের কাজও চলে গেছে। এই সার্বিক দুরবস্থা যেহেতু এক সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে, তাই, উদারবাদী সরকার ও রাষ্ট্রকে বাধ্যত কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়াতেও দেখা যাচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলি ক্রমেই সরকারের দায়িত্বে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে সমাজের দুর্বল অংশগুলিকে ন্যূনতম আয় জোগানোর কাজটিও সরকারের ঘাড়ে এসে পড়ছে। আমাদের দেশের বহু রাজ্যে কৃষকদের ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’এ সরকারের তরফে অর্থ জমা পড়া তেমনই একটি উদ্যোগ; পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’কেও তেমনই কোনও উদ্যোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

মোদ্দা কথায়, শ্রম বাজার এখন দাঁড়িয়ে আছে এমন এক সন্ধিক্ষণের মুহূর্তে যেখানে ট্রেড ইউনিয়ন ধারণার সামনে কিছু জরুরি প্রশ্ন এসে হাজির হয়েছে। আধুনিক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা পার্টনার থেকে শ্রমিকের অধিকার অর্জনের লড়াই চালাবে নাকি গিগ অর্থনীতির নমনীয়তায় সুযোগ পেলে অন্যত্র ভালো অফারে কাজে যোগ দিয়ে ‘গ্রেট রেজিগনেশন’এর নবতর প্রবণতাকে মজবুত করবে, তা এখন কোটি ডলারের প্রশ্ন। কিন্তু আজকের সময়ে এসে এটুকু অন্তত নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের ভালো-মন্দ কোনওভাবেই আর সমাজ-সরকার-রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটমান বিষয় নয়, কারণ, দ্রুত পরিবর্তনের আবহে সমস্ত নাগরিকের ন্যূনতম আয় ও সামাজিক সুরক্ষার দায়িত্ব আজ রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আন্দোলনের বর্শামুখকেও সেদিকপানে রাখাটা জরুরি। কারণ, পুঁজির বিনিয়োগ ও পলায়ন আজ এতটাই নমনীয় যে কতকটা ‘এই আছি এই নেই’এর ইতিবৃত্তে সামাজিক অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার পারদ অতি উচ্চগ্রামে স্থির হয়ে গিয়েছে।

- অনিন্দ্য ভট্টাচার্য

খণ্ড-29
সংখ্যা-4