উত্তর ২৪ পরগণা
“সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” শ্লোগান তুলে সকালে নৈহাটিতে মিছিল বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। মিছিল থেকে দেশ বিক্রি ও শ্রম কোডের বিরুদ্ধে আগামী ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ধর্মঘট সফল করারও আহ্বান জানানো হয়।
সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযানে অশোকনগরে এক সভা অনুষ্ঠিত হল স্থানীয় গোল বাজারে। সভার শুরুতে সংবিধানের মূল মূল স্তম্ভ রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে শপথ বাক্য পাঠ হয়। সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট শক্তির জাতীয় সম্পদ লুঠ করতে নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করার বিরুদ্ধে পার্টি নেতা অজয় বসাক, পবন সিংহ রায় ও বামপন্থী বন্ধু নীহার কাঞ্জিলাল বক্তব্য রাখেন। সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে আইসা কর্মী সৃজনা মুখার্জী, মেঘনা মজুমদার সহ অন্যান্যরা। সমগ্র সভা পরিচালনা করে অনুপ মজুমদার।
২৬ জানুয়ারি বারাসাত শহরে ব্রিটিশ উপনিবেশ বাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের নেতাদের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করল সিপিআই(এমএল) এবং আইসা। বারাসাত সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মুর্ত্তিতে মালা দেন আইসা বারাসাত শাখার সম্পাদক আকাশ। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতিকৃতিতে মালা দেন বর্ষীয়ান বাম কবি রাখালরাজ চট্টোপাধ্যায়। মাস্টারদার সহ যোদ্ধা অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রতিকৃতিতে মালা দেন আইসার সংগঠক অন্বেষা। বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, নারী শিক্ষার অগ্রদূত পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করেন আইসার অন্যতম সংগঠক সৌরভ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যকে প্রত্যাখান করার বিজেপি সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাসকে উর্দ্ধে তুলে ধরা এবং দেশের সারভৌমত্ব ও সবিধান রক্ষায় পার্টির আহবান এদিন সর্বত্র বিলি করা হয়। ২৮ জানুয়ারি কাম্পাস খোলার দাবিতে বারাসত স্টেশনে ১নং প্লাটফর্মের পাশে দুপুর ৩টা থেকে আইসার উদ্যোগে ছাত্র, শিক্ষক অবিভাবকদের এক সম্মিলিত সভার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্টি এবং আইসার পক্ষ থেকে ৩০ জানুয়ারি বারাসাত ছোট বাজারে গান্ধীর মূর্তিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
হুগলী
কোন্নগর ২নং কলোনী বাজার মোড়ে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার শপথ গ্রহণ কর্মসূচি সংগঠিত হয়। মোদী সরকারের জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে দেশ বিক্রি এবং ভোটার পরিচয়পত্র সহ সবকিছু নথিপত্রের সঙ্গে আধার সংযোগের অন্যায় সরকারি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার মারাত্মক চেষ্টাকে সবরকমভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান রাখা হয় জনতার উদ্দেশ্যে। কয়েকজন পথচলতি মানুষ নিজ আগ্রহে এগিয়ে এসে বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং পার্টির আহ্বান যথার্থ বলে কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
হাওড়া
৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসে বালি কৈলাস ব্যানার্জী লেনের শহীদ বেদীতে আইসার উদ্যেগে পালিত হল “সংবিধানের শপথ নাও/দেশ বিক্রি রুখে দাও”— কর্মসূচি। উক্ত কর্মসূচিতে আইসার সাথীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) সাথীরা। কেন্দ্রীয় সরকার ঢাক ঢোল পিটিয়ে যখন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে ঠিক সেই সময়েই একের পর এক জাতীয় সম্পদকে বিক্রি করে দেশকে নতুন ভাবে আম্বানি-আদানি কোম্পানি রাজের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের কার্যত অসম্মানিত করে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে থাকা অমর জ্যোতিকে নিভিয়ে দিয়ে, দেশের মেহনতি মানুষের উপর শ্রমকোড চাপিয়ে দিয়ে এই সরকার স্বৈরাচারের সমস্ত সীমারেখা অতিক্রম করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহ্বান রেখেই শুরু হয় এই দিনের সভা। স্বাধীনতা আন্দোলনের অমর শহীদ দের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদীতে হয় মাল্যদান।
সভায় বক্তব্য রাখেন আইসা রাজ্য সভাপতি নিলাশীস বসু। সভা সঞ্চালনা করেন কমরেড অমিতাভ ব্যানার্জী।
দার্জিলিং
শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে ‘সংবিধান বাঁচাও, দেশ বিক্রি রুখে দাও’ কর্মসূচীর শুরুতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শাশ্বতী সেনগুপ্ত। শেষে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ এবং শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্টু সাহা, মিলি ভট্টাচার্য, সানিয়া মন্ডল, পিঙ্কি দাস, রুবী সেনগুপ্ত, রমা সাহা, টুলু সাহা সহ এলাকার বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী এবং বাচ্চারা।
জলপাইগুড়ি
ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানীতে ভতনজোত গ্রামে বিবাদি সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসে সংবিধান বাঁচাও আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পবিত্র সিংহ। পাশাপাশি রাঙাপানি রেল স্টেশনে এআইসিসিটিইউ অন্তর্ভুক্ত দার্জিলিং জেলা সংগ্রামী মুটিয়া মজদুর ইউনিয়ন এই দিবসটি পালন করে। এই কর্মসূচিতে শরৎ সিংহ, পঞ্চা বর্মন উপস্থিত ছিলেন।