মাইক্রোফিনান্স কোম্পানীর ঋণ মকুব, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার জন্য বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি দাবি নিয়ে পাঞ্জাবের কৃষিমজুরদের সংগঠন ‘সানঝা মোর্চা’ ১২ ডিসেম্বর চার ঘণ্টার জন্য রেল অবরোধ করেন আম্বালা ডিভিশনের ভাতিন্দা, বারনালা এবং সাংরুর অঞ্চলে ও ফিরোজপুর ডিভিশনে। মোট ১৭টি ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়। যে নয়টি অঞ্চলে সংগঠিতভাবে রেলরোকো হয় সেগুলি হল, অমৃতসর, মানসা, যেথুকি এবং ভাতিন্দার পাথরালা, ফরিদকোটের গলিওয়ালা, বারনালার তপা, মগার অজিতওয়াল, লুধিয়ানার জাগরাঁও নির্বাচনক্ষেত্রের চৌকিমান, জলন্ধরের ফিল্লাউর অঞ্চলে। রেল পরিষেবা পুরোপুরি ব্যহত হয় মালওয়া অঞ্চলে, অমৃতসর এবং ফিল্লাউরের রেলরোকোর জন্য দিল্লী রুটের ট্রেন, লুধিয়ানা-ফিরোজপুরের লাইন এবং ভাতিন্দা-গঙ্গানগর লাইনে।
পাঞ্জাব ক্ষেতমজদুর ইউনিয়ন (পিকেএমইউ)-এর সভাপতি জোরা সিং নাসরালি ১২ ডিসেম্বর বলেন, ক্ষেতমজদুরদের কিছু বকেয়া দাবি নিয়ে ‘রেল রোকো’ হবে। পাঞ্জাবের কৃষকদের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন ‘বিকেইউ (উগ্রহান)’ এই কর্মসূচিকে সমর্থন করে। বিকেইউ (উগ্রহান)-এর সহসভাপতি সিংগারা সিং মান বলেন, “অনেক কৃষক ও কৃষিমজদুর আগের রাত্রে দিল্লী বর্ডার থেকে ফিরেছেন এবং আজ তারা রেল-লাইনে প্রতিবাদ করছেন, আমিও গতরাত্রে ফিরেছি।” পিকেএমইউ’র সম্পাদক লছমন সিং সেওয়াওয়ালা, যিনি আগের রাত্রে টিকরি বর্ডার থেকে ফিরেছেন, তিনি বলেন, “২৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি’র সাথে সানঝা মোর্চার মিটিং হয়। দাবি নিয়ে তিনি পাকাপাকি কোনও সমাধান দেননি, কিন্তু তাও আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করলাম।”
মজদুররা গ্রামে পাঁচ-মারলা প্লটের জমি (বাড়ি করার জন্য) বন্টন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মকুব এবং কৃষিকাজের জন্য পঞ্চায়েতী জমির ভূয়ো নিলাম বন্ধ করার দাবি করেন।
“পঞ্চায়েতী জমির এক-তৃতীয়াংশ দলিতদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্বেও দলিত পরিবারদের চাষের অধিকারকে খর্ব করে বৃহৎ জমি মালিকেরা ভূয়ো দাবিদার দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করছে। গুরদাসপুরের একটি ভূয়ো নিলামের কেসকে নিদর্শন হিসাবে দেখানো সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী তা বাতিল করেননি”, বলেন ইউনিয়ন নেতা তারসেম পিটার।
- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১২ ডিসেম্বর ২০২১