প্রায় দু'মাস হতে চলল রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মপ্রার্থীরা সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে ধর্ণা আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানানোর জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার এক প্রতিনিধিবৃন্দ ধর্ণা স্থলে যান। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন অমল হালদার, কার্তিক পাল, অভীক সাহা, সমীর পতিতুন্ড, হরিপদ বিশ্বাস ও মিহির পাল।
অবস্থান স্থলে সবকিছু জেনেশুনে কিষাণ মোর্চার নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয় — নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে শিক্ষক কর্মপ্রার্থীরা নিয়োগে অসঙ্গতির কারণে বঞ্চিত হয়ে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন। দেশের কৃষক সংগঠন ও গণ আন্দোলনের কর্মী হিসাবে তাদের আমন্ত্রণে অবস্থান স্থলে গিয়ে জানা গেল সামগ্রিক অভিযোগের কথা। মেরিট প্যানেলে অনেক পেছনে থাকা অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, অথচ প্রথমদিকে থাকা অনেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একইসাথে মেরিট প্যানেলে নাম না থাকা অজস্র ক্যান্ডিডেটকে শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এইসমস্ত বহু তথ্য কর্মপ্রার্থীরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে আপনার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কর্মপ্রার্থীরা আবেদন জানাতে অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ চাকরি না পেয়ে এক বড় অংশের যুবক-যুবতী হতাশার দিকে যাচ্ছেন। তাদের এই পথে নামা আসলে রুটি-রুজির প্রশ্নের সাথে যুক্ত এক গণ আন্দোলন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে আমরা আপনার কাছে আবেদন করছি — বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মপ্রার্থীদের অভিযোগ শুনুন এবং আপনার প্রতিশ্রুতি মাফিক এদের চাকরি সুনিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক সমাধানসূত্র বের করার জন্য আমরা আলোচনা করতেও প্রস্তুত। বেকার যুবক-যুবতীদের এই আন্দোলন ও দাবিকে আপনি সহানুভূতির সাথে দেখবেন, আমরা এই আবেদন জানাচ্ছি।