৩ অক্টোবর এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন, “ভবানীপুর উপনির্বাচন সহ বাকি দুটি কেন্দ্র, জঙ্গীপুর ও সামসেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গত ২০-২৫ দিন ধরে রাজ্য রাজনীতি যথেষ্ট আলোড়িত হচ্ছিল। বিশেষত ভবানীপুর কেন্দ্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ায়। বিজেপি ভবানীপুর কেন্দ্রে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য। ভবানীপুরকে খিদিরপুর/মিনি বাংলাদেশ না বানানোর আহবান জানিয়ে কুৎসিত সাম্প্রদায়িক প্রচারের পাশাপাশি হিংসা ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছিল যেকোনও অজুহাতে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করা, এমনকি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ভবানীপুর সহ তিনটি কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনটি কেন্দ্রেই বিপুল মার্জিনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভবানীপুর কেন্দ্রে রেকর্ড মার্জিনে মমতা ব্যানার্জি বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন।
এই নির্বাচন বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ও দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশলকে আরও একবার উন্মোচিত করলো।
উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের আত্মহারা হবার কোনও অবকাশ নেই। রাজ্যের ৮টি জেলায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত, নিদারুণ যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন, অজানা সংক্রমণে উত্তরবাংলার বিভিন্ন জেলায় শিশু মৃত্যু হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে আপৎকালীন ভিত্তিতে মানুষকে উদ্ধার করা ও রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”