২ অক্টোবর বিষ্ণুপুরের এসডিও এবং এএলসি’কে গণডেপুটেশনে দাবিপত্র জমা করে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। সকালে গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অবস্থান। যে মহাত্মা সারাজীবন অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সাফাই কর্মীদের অধিকার রক্ষার তাগিদে সংগ্রাম চালিয়েছেন এবং সর্বোপরি যাঁর আদর্শকে ব্যাবহার করে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালানোর কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকারও, সেখানে সাফাই কর্মীদের বোনাস ও বেতন না দেওয়া এক চরম প্রতারণার উদাহরণ।
বিষ্ণুপুর থানার হস্তক্ষেপে আলোচনার কথা ঠিক হয়। সেইমতো পৌর কর্তৃপক্ষের সহিত ইউনিয়নের প্রতিনিধি দিলবার খান ও দিলীপ বাউরি কথা বলেন। পৌর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, আগামী দু’মাসের মধ্যে দাবি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শ্রমিকদের দাবিপত্র তাঁরা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছেন। এরকম নানা প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস আগেও মিলেছে কিন্তু বাস্তবে কোন সুরাহা মেলেনি। তাই ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
“বিষ্ণুপুর শহরবাসীর কথা মাথায় রেখে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে বিশেষত শারদীয়া উৎসব ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে কোনোরকম কর্মবিরতি না করেই তীব্রভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে” বলে ঘোষণা করেন ইউনিয়নের সভাপতি ফারহান হোসেন খান। তিনি আরো বলেছেন, “রাজ্যের অস্থায়ী পৌরকর্মীদের জন্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যুনতম ৮,৯০৪ টাকা বেতন ও ৪,৫০০ টাকা বোনাস ঘোষণার আশাব্যঞ্জক নির্দেশ রাজ্য সরকার করে থাকলেও স্থানীয় পৌরপ্রশাসন সেই নির্দেশে ন্যূনতম আমল করছেন না”।