৯ আগস্ট, ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’ দিবসে কিসান সংসদে অনুষ্ঠিত হল ১৩তম এবং শেষ অধিবেশন — যে অধিবেশন ছিল শুধুমাত্র মহিলা প্রতিনিধিদের জন্য। তাঁরা দাবি করলেন কর্পোরেটরা কৃষিক্ষেত্র ছাড়ো এবং মোদী প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়ো। কিসান সংসদ সর্বসম্মতভাবে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করেছেন।
অনাস্থা প্রস্তাবটি সভায় উত্থাপিত হয় ৬ জুলাই। ৯ আগস্ট কিসান পার্লামেন্টে চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় — নেতৃত্ব দেন ডঃ রণবীর কাউর ভাঙ্গু, রীমান নইন, ঊষা রাণী, সুনীতা টিকাইত, পি কৃষ্ণাম্মাল, সুদেশ, জসবীর কাউর নাট এবং মউরীন কালেকা প্রমুখ। অর্থনীতিবিদ ডঃ অনুপমা পাঞ্জাবী (পাতিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়), সমাজকর্মী নভশরণ কাউর, এআইপিডব্লিউএ সম্পাদিকা এবং সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য কবিতা কৃষ্ণাণ, লক্ষ্মৌ-এর এআইপিডব্লিউএ নেত্রী মীনা সিং, পাঞ্জাব কিসান ইউনিয়ন নেত্রী জসবীর কাউর নাট, এআইএসএ এবং কিসান আন্দোলন কর্মী নভকিরণ নাট প্রমুখ ব্যক্তিত্ব ও আরো অনেকে সভায় ভাষণ দেন। বক্তারা মোদী জমানাকে দায়ী করেন — হিন্দুত্ব সন্ত্রাসবাদীতা, পেগাসাস গোয়েন্দাগিরি, শ্রম আইনের ক্ষয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপজ্জনক জায়গায় ঠেলে দেওয়া, কৃষিক্ষেত্র, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্পোরেট মুনাফাখোরদের কাছে বিকিয়ে দেওয়ার জন্য।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় এই কিসান পার্লামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে — সংযুক্ত কিসান মোর্চার কর্মসুচি ১৫ আগস্টে কিসান মজদুর আজাদী সংগ্রাম দিবস হিসাবে পালনের প্রস্তুতির জন্য।
মহিলা সংসদ এবং কিসান সংসদের ঘটনাবলি সামগ্রিকভাবে কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে পাটনা এবং বেনারসেও অনুষ্ঠিত হয়। পাটনায় অধ্যাপিকা ভারতী এস কুমারকে সংসদের স্পীকার পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সভার অংশগ্রহণকারীরা যে বিলগুলি আনেন তা হল — শ্রম আইনকে শ্রমজীবীদের পক্ষে জোরদার করা, স্বাস্থ্যের অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসাবে নিশ্চিত করা, খাদ্যদ্রব্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্য বেঁধে দেওয়া। এই প্রস্তাবগুলির পক্ষে বক্তব্য রাখেন এআইপিডব্লিউএ সাধারণ সম্পাদিকা মীনা তেওয়ারী। তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকরা এই নকল পার্লামেন্টকে বাস্তবায়িত করার জন্য সংগ্রাম করবেন।