নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগু করার নাম করে সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে এনে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যার ফল স্বরূপ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষ। এই সময়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষার খরচও অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু এই করোনা মহামারী কালে বাড়েনি ইনকাম, বরং অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোর্স ফি-হোস্টেল ফি না বাড়ায়, সেই জন্য বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু ছাত্র-ছাত্রী। সেই আন্দোলনকে দমানোর জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রথমদিকে বারংবার ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড এবং শেষ পর্যন্ত দুই জন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছেন।
এরই প্রতিবাদে ২৫ আগষ্ট বাঁকুড়া আইসা ও আইপোয়া ইউনিটের পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর রবীন্দ্র স্ট্যাচুর মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুপুর আইসা ইউনিটের সম্পাদক সুশান্ত ধীবর। তিনি বলেন, নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি ও অনলাইন শিক্ষাদানের ফলে কিভাবে বহু ছাত্রছাত্রী তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইসার নেতা মঙ্গল মুর্মু বলেন মহামারীর সময় যখন মানুষজন কাজ হারাচ্ছেন, তখন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরো বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে ফি বৃদ্ধি করেছে। যেখানেই ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করেছে সেখানে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর নেমে এসেছে কর্তৃপক্ষের সাসপেনশন কিম্বা বহিষ্কার। বক্তব্য রাখেন আইপোয়ার নেত্রী তিতাস গুপ্ত। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা যে কোনো মানুষকে 'দেশদ্রোহী' তকমা দিয়ে ইউএপিএ-র মতো দমন আইনে গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রকে বিরোধীমুক্ত করার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই রকমই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ছাত্রছাত্রীদের বহিষ্কার করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত করেছে। স্লোগান তুলে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে বিশ্বভারতীর ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কুশপুতুল দাহ করা হয়।
কলকাতাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।