খবরা-খবর
২৬ জুন: কৃষক বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও দিবসে রাজ্যে রাজ্যে ঘেরাও রাজভবন
Save the Farmers, Save Democracy Day_0

দেশ ও দুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া জাগানো দিল্লীর কৃষক আন্দোলন গত ২৬ জুন সাত মাস অতিক্রম করল। ৪৬ বছর আগে এদিনেই জারী করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তৎকালীন পরিস্থিতির সাথে হুবহু মিল না থাকলেও আজকের সময়কালে শাসকের দমন পীড়ন আরও সর্বাত্মক, আরও গভীরে। আজ সারা দেশে চলছে যেন এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা। তখন ছিল মিসা, আর আজ ইউএপিএ, যে কোনো প্রতিবাদ করলেই সেই একই বিনা বিচারে আটক রাখার কালা আইন। এসব কিছুকে মোকাবিলা করে দেশের বুকে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে দিল্লীর বুকে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ ধর্ণা-অবস্থান কর্মসূচি এগিয়ে চলেছে।

সম্প্রতি এই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে সুপরিচিত মার্কিন চিন্তাবিদ, ভাষাবিদ, দার্শনিক নোয়ম চমস্কি বলেছেন, “অন্ধকারের বুকে আলোকবর্তিকা”। তিনি বলেছেন, কৃষকরা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, এক প্রগতিশীল সমাজের জন্য লড়াই করে চলেছেন যা সমস্ত নাগরিকদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য নিয়োজিত। এই আন্দোলন কর্পোরেটদের দ্বারা কৃষকদের নিয়ন্ত্রিত করার বিরুদ্ধে। চলমান এই সংগ্রাম পুরোপুরি সঠিক। উনি আরও বলেছেন, “এই নির্মম স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় সংগ্রামী কৃষকদের নিজেদের ভূমিকার জন্য গর্বিত হওয়া উচিত। সারা দুনিয়ার সামনে এই কৃষক আন্দোলন একটা মডেল”।

কিষাণ আন্দোলনের নেতৃত্বকারী সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও এআইকেএসসিসি’র আহ্বানে ২৬ জুন সারা দেশজুড়ে পালিত হলো “কৃষি বাঁচাও গণতন্ত্র বাঁচাও” দিবস। রাজ্য রাজধানীগুলিতে রাজভবন অভিযান, রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান, জেলায় জেলায়, ব্লক সদরে বিক্ষোভ ও নানাবিধ প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়। দিল্লীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অপকৌশলকে মোকাবিলা করে কিষাণ আন্দোলন লাগাতার শক্তিশালী হয়ে চলেছে। দিল্লী, উত্তরপ্রদেশের লাগোয়া মেওয়াট অঞ্চল, মথুরা, হরিয়ানার নাহ এলাকা, রাজস্থানের ভরতপুর, আলোয়ার এলাকা – এই সমগ্র এলাকায় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের কিষাণরা বড় সংখ্যায় আন্দোলনে যোগদান করেছেন। এখানে দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-আরএসএস বাহিনী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার চক্রান্ত চালায়। প্রথমে স্থানীয় একটি গোলযোগে আসিফ নামে একজন যুবক খুন হয়, বিজেপির লোকেরা কিষাণ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, অপরাধীদের সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত করে, কিষাণ আন্দোলনকে ভাঙ্গার চক্রান্ত চালায়। অপর একটি ঘটনায় জুনেইদ নামে এক যুবককে পুলিশ লকআপে হত্যা করা হয়। সেখানে পরিবারের লোকেরা পুলিশের নামে এফআইআর দায়ের করে কিন্তু কিষাণ নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এখানে হরিয়ানার বিজেপি-জেজেপি সরকারের প্ররোচনা মোকাবিলা করে কিষাণ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক মহাসম্মেলন আয়োজন করা হয়। সমস্ত সম্প্রদায়ের কিষাণদের অংশগ্রহণে এক বিশাল জমায়েত কর্মসূচি কিষাণ একতাকে মজবুত করতে সহায়ক হয়। চন্ডীগড়ে, হিসারে কিষাণ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দিল্লীর বুকে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, কৃষকরা নিজেদের অধিকার ও জীবনযাত্রার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক বিভাজনে আন্দোলনকে ভাসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

২৬ জুন কর্মসূচিতে কৃষক ছাড়াও সারা দেশের শ্রমিক, ছাত্র-যুব, মহিলা ও নাগরিক সমাজের শক্তিগুলি ভালো সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে। নানারকম প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তারা বলেন, কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন কেবল দেশের কৃষিব্যবস্থাকেই ধ্বংস করবে না, কালোবাজারি ও বেকারত্ব বিপূল পরিমাণে বাড়িয়ে দেবে, ঘটাবে সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি। আজকের সময়ে দেশের সাধারণ মানুষ যা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। দেশের সমগ্র কৃষি বিপণন ও অত্যাবশ্যক পণ্য মজুত এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে একচেটিয়া পুঁজিপতি ও কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রেশন ব্যবস্থা, মিড-ডে-মিল বা শিশুদের খাদ্য সরবরাহ উঠিয়ে দেওয়া হবে। চুক্তিচাষের আইনি স্বীকৃতি কৃষকদের গোলামে পরিণত করবে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে ধ্বংস করে আমদানি নির্ভর করে তুলবে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সংসদীয় ব্যবস্থাকে নসাৎ করে গায়ের জোরে কৃষি আইন পাশ করেছে। গণতান্ত্রিকভাবে সমাধান না করে দমন-পীড়ন নামিয়ে আনতে চাইছে। আন্দোলনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সামাজিক মাধ্যমগুলিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, নেতৃত্বকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী, খালিস্তানী, করোনা সুপারস্প্রেডার অপবাদের তকমা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আন্দোলনের পাশে সর্বস্তরের মানুষ সংহতি গড়ে তুলছে।

পশ্চিমবাংলার বুকে কৃষকরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁদের জীবন্ত দাবিগুলিকে সামনে রেখে। বর্তমানে লকডাউনের অজুহাতে ফসলের যতটুকু সীমিত সরকারি সংগ্রহ-ব্যবস্থা ছিল সেটাকে শিকেয় তোলা হয়েছে। চাষিরা ধানের অভাবী বিক্রি করছেন মাত্র ১,১০০/১,২০০ টাকা কুইন্টাল দরে, সরকারি দর যেখানে ১,৮৬৫ টাকা। দাবি ওঠেছে, দুয়ারে দুয়ারে সরকারি দরে ধান কিনতে হবে। ভর্তুকি দিয়ে স্বল্প মূল্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষিদের সার, বীজ, ডিজেল, বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। সর্বোপরি লকডাউনের কর্মহীনতার পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। এই ক্ষেত্রে দলবাজি, নিম্নহারে মজুরি দেওয়া চলবে না, ভাগচাষি ও চুক্তি-চাষিদের সরকারি তালিকা তৈরি করে তাদের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দিতে হবে প্রভৃতি। এই দাবিগুলিকে তুলে ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সদরে, ব্লকগুলিতে এআইকেএম ও আয়ারলা’র পতাকাতলে নানাবিধ প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়।

দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে কলকাতার ধর্মতলায় রাজভবন অভিযান সংগঠিত হয়। রাজভবনের অনতিদূরে সিধু-কানু ডহরে অনুষ্ঠিত হয় কয়েক শতাধিক কর্মীদের অংশগ্রহণে যৌথ অবস্থান ও বিক্ষোভ সভা। দু’ঘন্টা ধরে বিক্ষোভসভা চলে। দাবি তোলা হয় তিন কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিল কর, এমএসপি গ্যারান্টি আইন চালু কর। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন বাতিল করে কালোবাজারি মজুতদারী সৃষ্টি করা চলবে না। পাশাপাশি এরাজ্যে কৃষি আইন কার্যকরী করা স্থগিত রাখতে হবে। শ্রমআইন তুলে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করা ও শ্রম কোড চালু করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই রাজভবন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন বামপন্থী কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। পশ্চিমবঙ্গ কিষাণ কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা প্রধানত পাঞ্জাবী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভালো সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন এআইকেএস-এর অমল হালদার, তুষার ঘোষ, এআইকেএম-এর কার্তিক পাল, জয়তু দেশমুখ, অগ্রগামী কিষাণ সভার হরিপদ বিশ্বাস, জয় কিষাণ সংগঠনের কল্যাণ সেনগুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ কিষাণ কো-সংগঠনের নেতা তেজেন্দ্র সিং, চেতন সিং, পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ডু, এআইকেএমএস-এর সুশান্ত ঝাঁ, সিআইটিইউ নেতা অনাদি সাহু, এআইসিসিটিইউ নেতা অতনু চক্রবর্তী প্রমুখ। ছিলেন এআইকেএম নেতা দিলীপ পাল, আয়ারলা’র নবকুমার বিশ্বাস, সংযুক্ত কিষাণ সভার সুভাষ নস্কর, এমকেপি’র কুশল দেবনাথ, এআইসিসিটিইউ নেতা প্রবীর দাস, নাগরিক আন্দোলনের নেতা অমলেন্দু ভূষণ চৌধুরী প্রমুখ। এআইকেএসসিসি’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

Save the Farmers, Save Democracy Day_1

 

হুগলী

এই জেলাতেও বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে এরাজ্যের কৃষক, বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, ভাগচাষি ও গরিব ঠিকা চাষিদের বিভিন্ন দাবিতে। সব জিনিসের দাম যখন অগ্নিমূল্য তখন ধানের দর ক্রমাগত কমছে। যেখানে বস্তাপিছু আলুর উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০০ টাকা, তখন দাম মিলছে মাত্র ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আর্থিক অনুদান থেকে গরিব ভাগচাষি ও ঠিকা চাষিরা বঞ্চিত। ব্যাংক বা সমবায় ঋণের সুযোগও তাদের অধরা। অবিলম্বে সরকারকে ধান, আলু সহ কৃষি ফসল কেনার উদ্যোগ নিতে হবে, ভাগচাষি ও গরিব ঠিকা চাষিদের তালিকা প্রস্তুত করে তাঁদের সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুযোগ দিতে হবে, কৃষকদের জন্য বিশেষ ভর্তুকিতে ডিজেল সরবরাহ করতে হবে, সার-বীজ-বিদ্যুৎ ইত্যাদি কৃষি উপকরণ সস্তায় সরবরাহ করতে হবে – এই সমস্ত দাবিতে পান্ডুয়া ব্লকের বৈঁচিতে কোভিড বিধি মেনে মিছিল করা হয়, মিছিল শেষে জিটিরোড অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া বাজার ও ইছাপুর গ্রামে। পোলবা ব্লকের আলিনগরে কৃষকদের সাথে ভাল সংখ্যক কৃষিমজুর, আদিবাসী নারী-পুরুষ দীর্ঘ সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এআইকেএসসিসি’র শরিক সংগঠন হিসেবে সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি এবং আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চও বিক্ষোভে অংশ নেয়। আধার নম্বর সংযুক্তির অজুহাতে কোনো মানুষ যেন রেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়ে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। এনআরইজিএ প্রকল্পে পরিবারপিছু জবকার্ড নয়, মাথাপিছু জবকার্ড দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

পূর্ব বর্ধমান

জেলার পুর্বস্থলী ২নং ব্লকের ফলেয়া স্টেশন সংলগ্ন বাজারে সকালে এআইকেএসএসসি অন্তর্ভুক্ত এআইকেএম এবং আয়ারলার উদ্যোগে মিছিল বিক্ষোভ অবস্থান ও সভা করা হয়। প্ল্যাকার্ড, পতাকা, ব্যানারে মিছিল সুসজ্জিত ছিল, দাবি তোলা হয় – তিন কৃষক বিরোধী আইন বাতিল করতে হবে, বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিল করতে হবে, ১০০ দিনের কাজ দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি ও বঞ্চনা বন্ধ করতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সর্বজনীন ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেক পরিবারকে মাসিক ৭,৫০০ টাকা অনুদান দিতে হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন অশোক চৌধুরী।

বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের সামনে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ও এআইকেএম-এর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এআইকেএম-এর রাজ্য সভাপতি অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও কুনাল বক্সী ও আয়ারলার জেলা কমিটির সদস্য শ্রীকান্ত রানা।

কালনা ২নং ব্লকে এআইকেএম, আয়ারলা ও আর ওয়াইএ’র পক্ষ থেকে মিছিল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এআইকেএম-এর জেলা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম।

মন্তেশ্বর ব্লকের কুলুট গ্রামে এআইকেএম ও আয়ারলার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়। নেতৃত্ব দেন আয়ারলার রাজ্য কমিটির সদস্য আনসারুল আমন মন্ডল।

নদীয়া

২৬ জুন নাকাশীপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরিতে পার্টি অফিসের সামনে থেকে কর্মীরা মিছিল করে বেথুয়াডহরি স্ট্যাচুর মোড়ে পৌছায়, সেখানে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও প্রতিবাদ দিবস পালনের এই আহ্বানকে সামনে রেখে স্লোগান ও বক্তব্য রাখা হয়। উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণ প্রামানিক, কাজল দত্তগুপ্ত, ইয়াদ আলি প্রমুখ।

১৯৭৫ সালের ২৬ জুন স্বৈরতন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, তারপর সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনটিকে কালা দিন হিসাবে পালন করে আসছে পার্টির ধুবুলিয়া কমিটি। এই বিষয়টিকে তুলে ধরে স্থানীয় নেতাজী পার্কে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন সন্তু ভট্টাচার্য, শঙ্কর রায়, অমিত মন্ডল সহ অন্যান্যরা। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের সমস্ত জনবিরোধী আইন ও কাজের বিরুদ্ধে ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হয়। কৃষ্ণনগর শহরের ক্ষৌনিশ পার্কে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাস, অমল তরফদার, প্রভাত সাহা প্রমুখ। কৃষিজমি ও গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে নবদ্বীপ ধাম স্টেশন থেকে তেঘরীপাড়া বাজার পর্যন্ত মিছিল করে এআইসিসিটিইউ নবদ্বীপ শাখা। অংশগ্রহণ করেন পরিক্ষিৎ পাল, তপন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। চাকদা শহরেও অনুরূপ প্রতিবাদী কর্মসূচি সংগঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন লিটন কর্মকার, বিজয় সাহা, মল্লার মৈত্র।

মুর্শিদাবাদ

বহরমপুর শহরের কুঞ্জঘাটা বাজারে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের উদ্যোগে এআইকেএসএসসি’র ডাকা দেশ জুড়ে “কৃষক বাঁচাও ও গণতন্ত্র বাঁচাও” দিবসের অংশ হিসেবে সকালে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হল। প্ল্যাকার্ড, ব্যানার সুসজ্জিত সভায় শ্লোগান তোলেন অপুর্ব লাহিড়ী। দাবি ছিল তিনটি কৃষক-বিরোধী ও জন-বিরোধী কৃষি আইন ও বিদ্যুত বিল-২০২০ বাতিল করতে হবে। সমস্ত মানুষকে অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করা বন্ধ কর। বক্তব্য রাখেন রাজীব রায়।

খণ্ড-28
সংখ্যা-24