এআইকেএসসিসি’র ডাকে ৮ জুলাই দেশজুড়ে প্রতিবাদ দিবসের অংশ হিসেবে পুর্ব বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন হয়।
মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির ফলে প্রতিনিয়ত পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে। ফলে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। অথচ কেন্দ্রের সরকার উদাসীন। তাদের ট্যাক্স বসানোর ফলেই এই অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি। কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী আইন, শ্রমিক বিরোধী শ্রমআইন, বিদ্যুৎ বিল ও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য দেশে বিলগ্নীকরণ নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে। দিল্লীর সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বাধীন এআইকেএসসিসি’র পক্ষ থেকে তাই পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ৮ জুলাই প্রতিবাদ দিবস পালন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।
৮ জুলাই জেলার কালনা ২নং ব্লকের আগ্রাদহ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার উপর এআইকেএম, আয়ারলা এবং আরওয়াইএ’র পক্ষ থেকে মিছিল প্রতিবাদসভা ও মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। শ্লোগান ছিল পেট্রোল-ডিজেলের ও গ্যাসের প্রতিনিয়ত মুল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দাও। তিনটি কৃষক বিরোধী আইন বাতিল করতে হবে। সমস্ত গরিব মানুষকে বছরে ২০০ দিন কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরি দিতে হবে। সমস্ত মানুষের বিনা খরচে গ্রামে গ্রামে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে। লকডাউনে কাজ হারানো লোকদের মাসিক ৭,৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া প্রতিবাদসভা সংগঠিত হয় পুর্বস্থলী ১নং ব্লকের নাদনঘাট পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামে।
সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ১১ জুলাই কালনা ২নং ব্লকের আগ্রাদহ গ্রামে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি ও ফাদার স্ট্যান স্বামীর কারাগারে হত্যার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হয়। দাবি ওঠে ইউএপিএ সহ সমস্ত কালা কানুন বাতিল বাতিল করতে হবে। সর্বজনীন ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনায় প্রয়াতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সভা শেষে স্বজন হারানোদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদীকা সুমি মজুমদার ও আয়ারলার জেলা কমিটির সদস্যা চিন্তামণি মুর্মু।
মন্তেশ্বর ব্লকের কুলুট গ্রামে ও বর্ধমান শহরে স্বজন হারানো স্মরণে অনুষ্ঠান হয়।
১০ জুলাই আরওয়াইএ’র পক্ষ থেকে কালনা ২নং ব্লকের কর্মী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরওয়াইএ’র রাজ্য নেতা সজল দে ও জেলা নেতা সমীর বসাক। বৈঠক থেকে কমিটি নির্বাচিত হয়, সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরিফুল সেখ। আলোচনা হয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা ও তাদের কাজের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া সম্পর্কে।