সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি এবং সারা ভারত আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের পক্ষ থেকে ২৭ জুলাই বাঁকুড়া জেলা শাসকের কাছে মিছিল করে গিয়ে এক ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
মূল দাবিগুলি ছিল,
১) সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে এক পরামর্শ পাঠিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে তফশিলি জাতি ও উপজাতি মানুষদের জন্য আলাদা তহবিল গড়তে হবে অর্থাৎ জবকার্ডে এবং ব্যাঙ্কের খাতায় তাদের শংসাপত্র যোগ করতে হবে। এটা আসলে এমএনআরইজিএ প্রকল্পের সর্বজনীন ও চাহিদা নির্ভর যে চরিত্র তাকে বদলে দেওয়া। এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিক।
২) রেশনে আধার সংযুক্তি আসলে বহু গরিব মানুষকে এই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত। এটা করা চলবে না।
৩) আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ্যে টাঙাতে হবে।
৪) এলাকায় এলাকায় ক্যাম্প করে সকলকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দিতে হবে।
৫) লোকাল ট্রেন চালু করে গরিব মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬) বনের জমিতে বসবাসকারী আদিবাসী ও বনবাসীদের উচ্ছেদ না করে পাট্টা সহ বাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে।
ডেপুটেশনের আগে মাচানতলা সুভাষ মুর্তির পাদদেশে বিক্ষোভসভা হয়। বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জেলা সম্পাদক রামনিবাস বাস্কে, আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের পক্ষ থেকে মঙ্গল মুর্মু এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জী। ডেপুটেশন গ্রহণ করেন এডিএম (সাধারণ) প্রলয় চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এআইকেএম নেতা বৈদ্যনাথ চীনা, এআইসিসিটিইউ নেতা দিলবার খান, এআইএআরএলএ নেতা অমল বিশ্বাস, জিতেন দিয়াসী ইত্যাদি।