বাকচাতুরী দিয়ে কাশ্মীরে গণতন্ত্র আসবে না
Democracy-will-not-come-to-Kashmir

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল ও তার রাজ্য মর্যাদা হরণের প্রায় দু’বছর পর নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের মনে হল, সেখানকার রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার। তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের আটটা দলের ১৪ জন নেতা-নেত্রীকে দিল্লীতে ডেকে বৈঠক করলেন, নিজেদের ‌কিছু প্রস্তাব রাখলেন, আহূত নেতাদের মনের কথা জানাতে দিলেন এবং তাঁদের কথা শুনলেন। বৈঠকের পর এর লক্ষ্য সম্পর্কে টুইট করে নরেন্দ্র মোদী জানালেন, “জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করাই সরকারের লক্ষ্য”। তিনি আরও শুনিয়েছেন “দিল্লী কি দূরী আউর দিল কি দূরী”, অর্থাৎ, কাশ্মীরের সঙ্গে দিল্লীর হৃদয়ের দূরত্ব ঘোচানোর বচন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যা বলছেন তারমধ্যে কি চূড়ান্ত পরিহাস নিহিত নেই? কাশ্মীরের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সেনাদের বন্দুকের ডগায় ও বুটের তলায় পিষে দিতে যাঁরা চূড়ান্ত সক্রিয়তা দেখিয়েছেন, আজ তাঁদের মুখে কাশ্মীরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার কথা শুনলে তা কতটা আন্তরিক মনে হতে পারে? তবে কি নরেন্দ্র মোদীদের হৃদয়ে কোনো রূপান্তরণ ঘটেছে? নাগপুরের পাঠশালায় মতাদর্শের পাঠ নেওয়া নেতাদের পক্ষে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের জনগণের জন্য সহমর্মিতাবোধ কতটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? প্রশ্নটা অতএব গিয়ে দাঁড়াচ্ছে নরেন্দ্র মোদীদের গণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর। আর তাই একটু পিছন ফিরে তাকানো যাক। ৩৭০ ধারা বিলোপ ও রাজ্যের মর্যাদা হরণের নরেন্দ্র মোদীদের পদক্ষেপ কাশ্মীরের জনগণের জন্য কোন গণতান্ত্রিক পরিণতি নিয়ে এসেছিল তা বিচার করা যাক।

কাশ্মীরের সমস্যা মূলগতভাবে যে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের বঞ্চনা, ভারতীয় শাসকরা কোনোদিনই তা স্বীকার করতে চাননি। শাসকদের কাশ্মীর নীতিতে পাকিস্তান প্রসঙ্গ নির্ধারক গুরুত্ব অর্জন করায় প্রকৃতই এক রাজনৈতিক প্রশ্নের সামরিক সমাধান করতে চাওয়া হল। ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে উঠল সামরিক বাহিনীর পীড়ন ভোগ করা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন অঞ্চলগুলোর অন্যতম। দু’বছর আগে ৩৭০ ধারা বিলোপ ও রাজ্য মর্যাদা হরণের আগে প্রতিবাদ দমনের লক্ষ্যে কাশ্মীরে পাঠানো হল আরও ৩৮,০০০ সেনা। কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাইরেই আধা সেনারা টহল দিতে থাকল। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করা হল, আরও শত-শত রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মীদের জেলে পোরা হল। কাশ্মীরের বাইরের বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হলনা। ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীকে তার নিজস্ব যে সংবিধান দিয়েছিল, তাকে মুলতুবি করা হল।

কাশ্মীরে নামে ১৪৪ ধারা জারির কথা বলা হলেও কার্যত তা কারফিউ কায়েমেই পর্যবসিত হল। চলাচল সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রিত করার লক্ষ্যে রাস্তাগুলোকে কাঁটাতার বিছিয়ে অবরুদ্ধ করা হল। দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক -- সমস্ত প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে গেল। বহু শতাব্দী ধরে চলা কাশ্মীরের সুপ্রসিদ্ধ কুটিরশিল্প ক্রেতার অভাবে ধুঁকতে থাকল। রপ্তানি ব্যাপক বাধার মধ্যে পড়ায় কয়েক হাজার কোটি টাকার আপেল ব্যাবসা চরম ক্ষতির মুখোমুখি হল। কাশ্মীরের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলে জনগণের রুটি-রুজিকে সংকটাপন্ন করে তোলা হল।

মোবাইল, ল্যান্ডফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সংযোগ, পারস্পরিক বার্তা বিনিময় থেকে কাশ্মীরী জনগণ মাসের পর মাস বঞ্চিত রইলেন যা তাঁদের বিচ্ছিন্নতাকে প্রকটতর করল। টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ রইল। জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘দ্য জম্মু কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি’র ওপর হানাদারি চালালো এনআইএ, উদ্দেশ্য কাশ্মীরে দমন-পীড়ন নিয়ে তারা যেন বেশি সক্রিয়তা না দেখায়। হামলা হল সংবাদপত্রর অফিসে। কাশ্মীরের জন্য বানানো হল নতুন মিডিয়ানীতি যাতে প্রশাসনকে, অর্থাৎ, সরকারি আমলাদের ক্ষমতা দেওয়া হল --  তাঁরা সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরগুলো পড়ে বিচার করবেন সেগুলোর মধ্যে ‘ভুয়ো’, ‘অন্যের লেখা থেকে চুরি করে ছাপানো’, ‘অনৈতিক’ এবং ‘দেশদ্রোহমূলক’ সংবাদ আছে কি না। এবং আমলাদের বিচারে যদি সেরকম কিছু থাকে তবে তা প্রকাশের জন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে “আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার” বিধান জারি হল। সাংবাদিকদের জেলে পোরা হল, তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র মতো দানবীয় আইনের প্রয়োগ হল। কাজেই, প্রশাসন যেমনটা চায় সেরকম লাইন অনুসরণের হুঁশিয়ারি সংবাদ জগতকে দেওয়া হল, যার প্রকৃত অর্থ গিয়ে দাঁড়াল এক অঘোষিত সেন্সরসিপে, সংবাদপত্র যেন কাশ্মীরের প্রশাসন-বিরোধী কোনো সংবাদ প্রকাশ না করে।

নরেন্দ্র মোদীদের কথায় যা ছিল ‘সম্পূর্ণ সংহতি’র উদ্যোগ, তা এইভাবে কাশ্মীরী জনগণের পরিপূর্ণ বিচ্ছিন্নতায় পরিণতি লাভ করল। কাশ্মীরী জনগণের কাছে কাশ্মীর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এক বড় কারাগার বলে মনে হল। জনৈক নাগরিকের মন্তব্যে ফুটে উঠল সাধারণ কাশ্মীরবাসীর এই মনোভাব – “সরকার আমাদের, কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতোই আচরণ করেছে, আমরা যখন বন্দী তখন আমাদের জীবন এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে”। জয়প্রকাশ নারায়ণ ১৯৬৬ সালে যা বলেছিলেন, বিশেষ মর্যাদা হরণের পরবর্তী পর্যায়ে তা চূড়ান্ত রূপে মূর্ত হয়ে উঠল – “আমরা গণতন্ত্রের অঙ্গীকার করি, কিন্তু বলপ্রয়োগ করে কাশ্মীর শাসন করি। …”

ওপরে যা তুলে ধরা হল তা দেখাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাশ্মীরী জনগণের গণতন্ত্র খোলামকুচি সদৃশ বস্তু মাত্র। তাঁদের চোখে কাশ্মীরী জনগণ উপনিবেশের প্রজার মতো, ঔপনিবেশিক শাসকের হুকুম মাফিক যাদের চলতে হবে, অধিকার চাইলে দমনের পরিণাম যাদের ভোগ করতে হবে, সেনাদের রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হয়েই যাদের নিত্যদিন অতিবাহিত করতে হবে। কাশ্মীরী জনগণের গণতন্ত্র প্রাপ্তির প্রাথমিক শর্ত অতএব হল স্বাধীন দেশের অবশীভূত নাগরিকের মর্যাদা লাভ। নরেন্দ্র মোদীরা তাঁদের কতটা গণতান্ত্রিক অধিকার বিশিষ্ট নাগরিক হিসাবে গণ্য করতে রাজি? কাশ্মীরের ভূখণ্ডের ওপর অধিকারকে একচ্ছত্র করার সাথে-সাথে সেখানকার নাগরিকদের ভারতের অন্যান্য রাজ্যোর নাগরিকদের সমতুল্য বলে বিচার করতে তাঁরা কতটা প্রস্তুত? কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে -- তাঁরা লোকসভা ও বিধানসভা ক্ষেত্রগুলির পুনর্বিন্যাসে ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করলে নির্বাচনের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে তাঁরা রাজি হননি, বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন বলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু কাশ্মীরের গণতন্ত্রকে কেন নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাসে সহযোগিতার সঙ্গে শর্তযুক্ত করা হবে? এটা ঠিকই যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাস তথা আসন সংখ্যার বৃদ্ধি আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্য সমস্ত রাজ্যে নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাস যেখানে ২০২৬ সালে হবে বলে নির্ধারিত হয়ে রয়েছে, তখন কাশ্মীরের নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাস নিয়ে এখনই জেরাজেরি কেন? আর এটাওতো ঘটনা যে, ২০০১ সালের জনগণনার পর জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা আইন পাস করে নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাসকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা যথার্থভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন, “নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর পুনর্বিন্যাসের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে কেন? অন্যান্য রাজ্যে পুনর্বিন্যাস হবে ২০২৬ সালে। জম্মু ও কাশ্মীরকেই শুধু বেছে নেওয়া হচ্ছে কেন?” তবে কি এর পিছনে কোনো গূঢ় অভিসন্ধি রয়েছে? জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৮৩, যারমধ্যে কাশ্মীর উপত্যকার জন্য নির্দিষ্ট ৪৬টি এবং জম্মুর জন্য নির্দিষ্ট ৩৭টি আসন। পুনর্বিন্যাসের মধ্যে দিয়ে হিন্দু আধিপত্য সমন্বিত ও বিজেপির প্রভাবান্বিত জম্মুর আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার কোনো দুরভিসন্ধি কি কাজ করছে? সে রকমটা ঘটলে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য নরেন্দ্র মোদীদের গণতান্ত্রিক দরদের কপটতাই শুধু প্রকট হবে না, তা কাশ্মীরে নতুন করে আগুন জ্বালিয়েও তুলবে।

আর, ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে দেওয়া হবে নাই বা কেন? সরকার চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বরং এব্যাপারে সহায়কই হতে পারে। নরেন্দ্র মোদীরা সুপ্রিম কোর্টের দোহাই দিয়ে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও সরকারের দুয়ারে কান পাতলে শোনা যায়, ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নাকি ‘অপরিবর্তনীয় বাস্তবতা’। কেন? আরএসএস-এর এজেণ্ডা বলে? ৩৭০ ধারা কাশ্মীরের ভারতভুক্তির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে এবং কাশ্মীরী জনগণের অত্যন্ত আকাঙ্খিত এক অধিকার। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মন্তব্যে কাশ্মীরী জনগণের এই আকাঙ্খারই প্রতিফলন, “জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট থেকে যন্ত্রণায় রয়েছেন। অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও অবৈধভাবে ৩৭০ ধারা বাতিলকে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ মেনে নিতে রাজি নন। এর পুনরুদ্ধারের জন্য আমার দল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে লড়াই করবে, মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর লাগলেও তা করবে। এটা আমাদের পরিচিতির ব্যাপার। ৩৭০ ধারা এমন একটা বিষয় যা পাকিস্তান আমাদের দেয়নি।”

শোনা যাচ্ছে, কাশ্মীরী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর পিছনে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কাজ করেছে। পিছনের দরজা দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও নাকি কথাবার্তা চলছে। তবে, কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর পিছনে যে কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত বিবেচনাই কাজ করে থাকুক না কেন, কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও সেখানের নেতানেত্রীদের অভিমত প্রাথমিক গুরুত্ব না পেলে কাশ্মীরে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার যে কোনো উদ্যোগই যে পণ্ডশ্রম হবে তা বুঝতে বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না।

সবশেষে আর একটা কথা। কাশ্মীরের জনগণ এবং নেতানেত্রীদের কিন্তু শ্রদ্ধা ও মর্যাদাও প্রাপ্য। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা গত ২৪ জুন যাঁদের সঙ্গে বৈঠক করলেন, তাঁদেরই এক সময় “জাতীয়তা বিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল”। কাশ্মীরের যে পাঁচটি দল ‘গুপকর জোট’ বানিয়ে ৩৭০ ধারা বিলোপ ও রাজ্য মর্যাদা হরণের বিরুদ্ধে লড়ছেন, অমিত শাহ তাঁদের ‘গুপকর চক্র’ বলে অভিহিত করেছিলেন। যে সময় বিশেষ মর্যাদা হরণ করা হয়েছিল, শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে সে সময় শোনা গিয়েছিল কাশ্মীরের নারীদের সম্পর্কে এই অপমানজনক মন্তব্য -- কাশ্মীরের নারীদের এবার গৃহবধূ করে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে। কাশ্মীরের নারীরা কি এতই সস্তা যে, যার যখন ইচ্ছা হবে তখনই শয্যাসঙ্গিনী হিসাবে কাশ্মীরের নারীদের পেয়ে যাবে? শ্রদ্ধা ও মর্যাদা গণতান্ত্রিক বোধের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে যুক্ত। এই শ্রদ্ধা ও মর্যাদা যে কাশ্মীরী জনগণের প্রাপ্য, সেই বোধও নরেন্দ্র মোদীদের আয়ত্ত করতে হবে। অন্যথায়, কাশ্মীরের গণতন্ত্র নিয়ে তাঁদের সমস্ত কথাবার্তাই “দিল্লী কি দূরী আউর দিল কি দূরী”র মতো বাক চাতুরী হয়ে দেখা দেবে।

-- জয়দীপ মিত্র 

খণ্ড-28
সংখ্যা-24